দীপিকা পাডুকোন ও আলিয়া ভট্ট। ছবি-সংগৃহীত।
ভোট দিতে এসে ছবিশিকারিদের ক্যামেরায় ধরা পড়েন অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন। সেখানেই স্পষ্ট হয় তাঁর স্ফীতোদর। অনুরাগীদের একাংশ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রীকে। আবার অন্য দিকে, নেটাগরিকদের একাংশের ট্রোলিং এর শিকার হচ্ছেন অভিনেত্রী। এ বার দীপিকার সমর্থনে সরব হলেন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট।
২০ মে মুম্বইয়ের এক ভোটকেন্দ্রে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে আসেন দীপিকা। সাদা শার্ট ও নীল ডেনিম প্যান্ট ছিল তাঁর পরনে। প্রথম বার তাঁর স্ফীতোদর স্পষ্ট ধরা পড়ে ক্যামেরায়। কিন্তু, সেই স্ফীতোদর কি আসল না নকল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে নেটাগরিকদের একাংশ। দীপিকার চেহারা নিয়েও নানা ‘কুমন্তব্য’ করছেন অনেকেই।
এই পুরো ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন সাংবাদিক ফায় ডি’সুজ়া। দীপিকার হয়ে তিনি সেই পোস্টে লেখেন, ‘‘দীপিকা পাডুকোন নিজের গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন করতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। তাঁর চেহারা দেখতে কেমন লাগছে বা তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে আপনাদের কারও প্রতিক্রিয়া তিনি চাননি। ওঁর জীবনের কোনও কিছু নিয়েই আপনাদের মন্তব্য করার কোনও অধিকার নেই। এখনই এই আচরণ বন্ধ করুন।’’
ফায়ে-এর সেই পোস্টে সহমত জানিয়েছেন বহু নেটাগরিক। অন্যদের মতোই অভিনেত্রী আলিয়া ভট্টও সেই পোস্টে ‘লাইক’ করে তাঁর সমর্থন জানিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ভাগ করে নেওয়ার পরে আলিয়াকেও এমনই ট্রোলিং-এর শিকার হতে হয়েছিল। আর তাই তিনি দীপিকার এই পরিস্থিতি আরও ভাল করে অনুভব করতে পারছেন।
এক অনুরাগী দীপিকা ও আলিয়াকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন, ‘‘এই সময়ে সত্যিই ওঁদের পরস্পরের পাশে থাকা দরকার। এমন একটি ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলা বন্ধ হওয়া উচিত। অপরিচিতদের থেকে এই ধরনের মন্তব্যের কোনও প্রয়োজন নেই দীপিকার।’’
উল্লেখ্য, ২০২২ এর ১৪ এপ্রিল রণবীর কপূরকে বিয়ে করেন আলিয়া। বিয়ের দু’মাস পরেই সন্তানধারনের খবর প্রকাশ্যে আনেন তাঁরা। সেই সময়েও নেটাগরিকের একাংশের ট্রোলিং-এর শিকার হতে হয়েছিল আলিয়াকে।