রাহার সঙ্গে আলিয়া ভট্ট। ছবি-সংগৃহীত।
অভিনয়ের পাশাপাশি মেয়ে রাহাকেও সময় দিচ্ছেন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। মেয়েকে বড় করে তোলার জন্য নিজেকেও নতুন করে আবিষ্কার করছেন। এক দিকে মেয়ে যেমন বড় হচ্ছে, তাঁর মাতৃত্বেরও বয়স বাড়ছে। এর মধ্যেই রাহার জন্য একটি নতুন অভ্যাস রপ্ত করে ফেলেছেন অভিনেত্রী।
কোনও দিন সেই ভাবে বই পড়ার অভ্যাস ছিল না আলিয়ার। ছোটবেলায় পড়াশোনায় খুব একটা মনও ছিল না তাঁর। শুধু জানলার বাইরে তাকিয়ে থাকতেন আর দিবাস্বপ্ন দেখতেন। নিজেই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। কিন্তু রাহা জীবনে আসার পরে বই তাঁর জীবনের অন্যতম সঙ্গী হয়ে উঠেছে। রোজই প্রায় একটি করে বই তিনি রাহাকে পড়ে শোনান।
সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে আলিয়া বলেছেন, “প্রতিদিন সকালে, দুপুরে, রাতে বই পড়ে শোনাই রাহাকে। একটা-দু’টো বই নয়, এমনও হয়, আমি চারটে বই পড়ে ফেলি। রাহা বই ভালবাসে। ঘুমনোর সময়ে বই জড়িয়ে ধরে থাকে ও।”
শৈশবে তাঁকেও বই দেওয়া হয়েছিল। মা সোনি রাজদান ও দিদি শাহিন ভাট রীতিমতো জোর করতেন বই পড়ার অভ্যেস তৈরি করার জন্য। কিন্তু সেগুলো পড়ার তেমন আগ্রহই ছিল না বলে জানান আলিয়া। তিনি বলেন, “অদ্ভুত ব্যাপার হল, আমার একদমই পড়তে ভাল লাগত না। আমার দিদি খুব পড়াশোনা করত। রাত জেগে ‘হ্যারি পটার’-এর সব বই পড়তেন তিনি। মনে আছে, মা আর দিদি বই ছুড়ে ফেলত আমার মুখে পড়ার জন্য।”
আলিয়া আরও যোগ করেছেন, “আমি জানলার বাইরে তাকিয়ে বসে থাকতাম। নিজের মাথায় নানা বিষয় আলোচনা চলত। আমায় কেউ গল্প বলে শোনালে ভাল লাগত। দাদু আমায় গল্প বলে শোনাত। যদিও, আমি স্থির হয়ে বসে থাকতাম না।” রাহার জন্য শিশু সাহিত্যকে নতুন করে চিনছেন বলে জানান আলিয়া। আর তাই আর একমাত্র মেয়েক উৎসর্গ করে নিজে একটি শিশুদের বইও লিখে ফেলেছেন তিনি।