আইনের ফাঁক গলে পুলিশের প্রতিটা চালে পাল্টা চাল দেয় বিজয়। সেই ভূমিকায় অজয়ের অভিনয়ই এ ছবির মূল আকর্ষণ। ফাইল চিত্র
রাত পোহাতেই পর্বতপ্রমাণ ‘দৃশ্যম ২’-এর রেখচিত্র। দ্বিতীয় দিনে লাভের পারদ প্রায় ৪৭ শতাংশ বেড়ে গেল। ১৮ নভেম্বর মুক্তির দিনে যেখানে আয় হয়েছিল ১৫ কোটি টাকা, দ্বিতীয় দিনের শেষে ঝুলিতে প্রায় ৪০ কোটির কাছাকাছি। স্পষ্টতই, ধুকতে থাকা বলিউডে প্রাণ সঞ্চার করতে চলেছে অজয় দেবগন অভিনীত ‘দৃশ্যম ২’।
চিত্রনাট্য টানটান। সেই সঙ্গে নায়ক একাই একশো। বিজয় সালগাঁওকরের চরিত্রে অজয়কে ‘রত্ন’ বলেই মনে করছেন অনুরাগীরা। দেশের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয় হয়েছে ছবিটি। সারা দিনের সব শো হাউজফুল থাকায় রাতেও শো সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে মাল্টিপ্লেক্সগুলি। তার পরই আয়ও বাড়ল রাতারাতি। শুধু তা-ই নয়, দেশের বাইরেও ছুটছে ‘দৃশ্যম ২’। সৌদি আরবে ২.৫ কোটি, কানাডায় ২ কোটি, ইংল্যান্ড-সহ ইউরোপীয় দেশগুলি মিলিয়ে ৩ কোটিরও বেশি টাকা তুলে নিয়েছে অভিষেক পাঠক পরিচালিত এই অপরাধমূলক থ্রিলার।
রিমেক হওয়া সত্ত্বেও কোনও বলিউড ছবি নিয়ে হইচই অনেক দিন পর। আইনের ফাঁক গলে পুলিশের প্রতিটি চালে পাল্টা চাল দেয় বিজয়। সেই ভূমিকায় অজয়ের অভিনয়ই এ ছবির মূল আকর্ষণ। টিকিটের এত চাহিদা যে, কুলিয়ে উঠতে পারছে না প্রেক্ষাগৃহগুলি। মাল্টিপ্লেক্সগুলি মাঝরাতেও শো রাখতে বাধ্য হচ্ছে। সবাই দেখতে চাইছেন ‘দৃশ্যম ২’। এ ভাবে যদি চলে তা হলে বড়সড় লাভ রাখতে পারে এই ছবি, এমনই অনুমান চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষকদের। ‘ব্রহ্মাস্ত্র’-র পর আবার কি বিপুল বাজার হতে চলেছে ‘দৃশ্যম ২’-এর? যে দৃশ্য দিয়ে শেষ হয়েছিল প্রথম ‘দৃশ্যম’, সেখান থেকেই শুরু হচ্ছে ‘দৃশ্যম ২’। তার পর অবশ্য গল্প এগিয়ে যায় সাত বছর। দর্শক যেমন সাত বছর আগের সালগাঁওকর পরিবারকে এখনও ভোলেননি, দেখা যায় সালগাঁওকর পরিবারও সাত বছর আগের সেই বিভীষিকা এখনও ভোলেনি।
২০১৩ সালে জীতু জোসেফ তৈরি করেন মালয়ালম ছবি ‘দৃশ্যম’। ২০১৫ সালে সেই ছবিরই রিমেক তৈরি করেছিলেন পরিচালক নিশিকান্ত কামাত। সে সময়ে ও রকম একটা টানটান থ্রিলার দেখে নড়েচড়ে বসেছিলেন গোটা দেশের দর্শক। সেই ছবির সিক্যুয়েল মালয়ালমে ইতিমধ্যেই গত বছর বানিয়ে ফেলেছেন জীতু জোসেফ। মোহনলাল অভিনীত ‘দৃশ্যম ২’ ছবিটি অনেকেই ঘরে বসে ওটিটি-তে দেখে ফেলেছেন। এ বার হিন্দিতে সেই সিক্যুয়েল পেয়ে দর্শকের উন্মাদনা তুঙ্গে।