কাজলের সঙ্গে তাঁর বিয়ের পরেই প্রথম শোনা গিয়েছিল, শাহরুখ খানের শত্রু হয়ে গিয়েছেন অজয় দেবগণ! তার পরে প্রায় দুই দশক ধরেই দফায় দফায় শোনা গিয়েছে বলিউডের দুই প্রথম সারির ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা। সম্প্রতি এ নিয়ে মুখ খুললেন অজয়। সত্যিই কি এখনও তাঁরা দুই মেরুর বাসিন্দা?
অজয় আর শাহরুখ কি এখনও দুই মেরুতে?
তাঁদের সমীকরণ মেলে না অনেক দিনই। সেই কবে কাজলের সঙ্গে তাঁর বিয়ের পরেই প্রথম শোনা গিয়েছিল, শাহরুখ খানের শত্রু হয়ে গিয়েছেন অজয় দেবগণ! তার পরে প্রায় দুই দশক ধরেই দফায় দফায় শোনা গিয়েছে বলিউডের দুই প্রথম সারির ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে মুখ খুললেন অজয়।
শাহরুখ খান এবং কাজলের বন্ধুত্ব গোটা বলিউডের কাছেই উদাহরণ হয়ে গিয়েছিল একটা সময়ে। পর্দায় দু’জনের জুটি ও রসায়ন তুমুল জনপ্রিয় থাকাকালীনই আচমকা অজয়কে বিয়ে করে ইন্ডাস্ট্রি থেকেই ধীরে ধীরে সরে যান কাজল। বলিউডের বাতাসে পাক খেতে থাকে নানা রকমের গল্প। শোনা গিয়েছিল, শাহরুখের সঙ্গে কাজলকে আর ছবি করতে দিতে রাজি ছিলেন না অজয়। তার পরেই সংসারে মন দিয়ে ছবির দুনিয়া থেকেই হারিয়ে যান নব্বই দশকের দাপুটে অভিনেত্রী। যার জন্য অনেকেই নানা ভাবে দায়ী করেন স্বামী অজয়কেই।
বহু দিন পর্যন্ত দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে থাকা দুই অভিনেতার মাঝে দূরত্ব কিছুটা হলেও মিটেছে এক সময়ে। ইন্ডাস্ট্রিতে ‘বন্ধু’ বলে পরিচিত না হলেও ‘শত্রু’র তকমা সরেছে। তার পরেও অবশ্য বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় রটেছে দু’জনের ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা। শেষ বার যা শোনা গিয়েছিল, অজয়ের ছবি ‘সন অব সর্দার’ এবং শাহরুখের ছবি ‘যব তক হ্যায় জান’-এর বক্স অফিস লড়াইয়ের সময়ে। তখনই নাকি নতুন করে বিবাদ বেধেছে দু’জনের।
সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে সেই বিষয়টিই স্পষ্ট করেছেন ‘তানহাজি’র নায়ক। অজয়ের কথায়, ‘‘আমরা নব্বই দশকের নায়কেরা প্রায় একই সময়ে নিজেদের কেরিয়ার শুরু করেছি। আমাদের সম্পর্কও ভাল। আমার বা শাহরুখের সম্পর্কে যা রটে, তা সত্যি নয়। আমাদের নিয়মিত ফোনে কথা হয়। আমরা একে-অন্যের বিপদে পাশেও দাঁড়াই।’’
তাঁর এবং শাহরুখের মধ্যে এই ‘মনগড়া’ শত্রুতার দায় অজয় চাপিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের উপরে। তাঁর আরও বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের ফ্যান ক্লাবের মধ্যে লড়াই চলে। আর বাইরে থেকে তাকেই শাহরুখের সঙ্গে তাঁর শত্রুতা বলে ধরে নেওয়া হয়!