saif ali khan

Kareena-Saif: মুঘল বাদশাহ জাহাঙ্গিরের থেকে ‘জে’ নামকরণ? তৈমুরের পর কটাক্ষে করিনার দ্বিতীয় সন্তান

কেউ কেউ নামের অর্থ নিয়েও মশকরা করতে ছা়ড়েননি। ‘জে’ শব্দের বিভিন্ন অক্ষর বদলে অশ্লীল শব্দ তৈরি করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২১ ১৭:০২
প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তানকে নিয়ে ফের কটাক্ষের মুখে সইফিনা

প্রথম সন্তানের পর দ্বিতীয় সন্তানকে নিয়ে ফের কটাক্ষের মুখে সইফিনা

করিনা কপূরের বাবা অভিনেতা রণধীর কপূর স্বয়ং সংবাদমাধ্যমকে নিজের চতুর্থ নাতির নাম জানিয়েছেন। করিনাসইফ আলি খানের দ্বিতীয় সন্তানের নাম রাখা হয়েছে, জে। পাঁচ মাস পরে নাম প্রকাশ করলেন তারকা দম্পতি। তার কারণ তাঁরা আগেই জানিয়েছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খান পটৌডির নাম নিয়ে গোটা দেশে যে রকম গোলযোগ শুরু হয়েছিল, সেই খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় সন্তানের নাম প্রকাশে সময় নিয়েছেন তাঁরা।

তৈমুর পৃথিবীতে আসার পরমুহূর্তেই যে ভাবে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সদ্যোজাতকে, সে কথা ভুলতে পারেন না তৈমুরের বাবা ও মা। অত্যাচারী তুর্কি রাজার নামের সঙ্গে মিলে যাওয়ার ফলে মৌলবাদীদের কোপের মুখে পড়তে হয় ছোট্ট তৈমুরকে। শুধু তাই নয়, করিনার এক কাছের মানুষও হাসপাতালে সদ্য মাকে দেখতে গিয়ে নিন্দা করে এসেছিলেন। সেই ব্যক্তি বলিউডের নামি মানুষ। যদিও সেই গল্প বললেও তাঁর নামোচ্চারণ করেননি করিনা। ‘তৈমুর’ শব্দের অর্থ লোহা। লৌহমানবের মতো দৃঢ় এক ব্যক্তি হিসেবে দেখতে চান বলে তাঁর ছেলের এই নাম রেখেছিলেন করিনা। সাক্ষাৎকারেই এ কথা জানিয়েছিলেন করিনা।

Advertisement
ভাইকে কোলে নিয়ে তৈমুর

ভাইকে কোলে নিয়ে তৈমুর

২১ ফেব্রুয়ারি তৈমুরের ভাইয়ের জন্ম হতেই নেটাগরিকদের একটাই প্রশ্ন ছিল, কী নাম দেওয়া হবে তৈমুরের ভাইয়ের? তার উত্তর মিলল পাঁচ মাস পরে। নাম রাখা হল, ‘জে’। পার্শি ভাষায় যেই শব্দের অর্থ ‘আসা’ বা ‘নিয়ে আসা’।

কিন্তু হায়, তৈমুরের পর আর এক সদ্যোজাতও বাদ পড়ল না নেটাগরিকদের কোপ থেকে। শুক্রবার রাতে এই শিশুর নাম প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই নেটমাধ্যম ভরে উঠেছে কটাক্ষে। নেটাগরিকদের একাংশের মতে, শিশুটির পুরো নাম বলা হয়নি। তাই তাঁরা নিজেরাই সিদ্ধেন্তে পৌঁছলেন, আসলে এই নামটি নেওয়া হয়েছে মুঘল বাদশাহ জাহাঙ্গির বা জালালউদ্দিন(মুঘল বাদশাহ জলালউদ্দিন মহম্মদ আকবর)-এর নাম থেকে। তাই নিয়ে মশকরা, ঠাট্টা, অপমান, কটাক্ষ— সব রকমই শুরু হয়ে গিয়েছে।

তা ছা়ড়া কেউ কেউ নামের অর্থ নিয়েও মশকরা করতে ছা়ড়েননি। ‘জে’ শব্দের বিভিন্ন অক্ষর বদলে অশ্লীল অথবা অপমানজনক শব্দ তৈরি করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই।

কটাক্ষের উত্তর দেওয়া তো দূর অস্ত, এখনও পর্যন্ত তাঁদের দ্বিতীয় পুত্রসন্তানের নামের বিষয়টিই নিশ্চিত করেননি সইফিনা।

আরও পড়ুন
Advertisement