সামান্থার শরীরে অন্তত তিনটি ট্যাটু আছে যেগুলো একেবারেই তাঁর প্রাক্তন স্বামী নাগা চৈতন্যর স্মৃতি বিজড়িত। তার মধ্যে একটি ট্যাটু ঘাড়ের কাছেই, যাতে লেখা ' ইয়ে মায়া চেসভ'। যে তেলেগু ছবির সেটেই দুজনের প্রথম দেখা, এবং প্রেম। সেই ছবির গোটা স্মৃতিটাই যে কাঁধে নিয়ে ঘুরছেন সামান্থা।
সামান্থা-নাগা
অভিনয় করতে গিয়ে প্রেম, তার পর বিয়ে। যদিও দক্ষিণী তারকা সামান্থা প্রভু এবং নাগা চৈতন্য বিয়ের পর মাত্র ৪ বছর একসঙ্গে ছিলেন। এর পর বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। ২০২১ সাল থেকে দুই তারকাই ঝাড়া হাত পা, মুক্ত বিহঙ্গের মতো আবার যে যাঁর জীবনে ফিরে গেছেন।
কিন্তু একটা মুশকিলে পড়েছেন সামান্থা। প্রাক্তনকে নিয়ে সারা গায়ে যে ট্যাটু করিয়েছিলেন! সেগুলো এখন মুছে ফেলার ঝক্কি পোহাবেন কিনা বুঝতে পারছেন না। তবে হারে হারে বুঝছেন, যে ভালোবাসার স্রোতকে ট্যাটুর মতো চিরখোদাই না করলেও পারতেন।
ইনস্টাগ্রামে 'আস্ক মি এনিথিং' পর্বে জনৈক ভক্ত নাকি সামান্থা রুথকে জিজ্ঞেস করেন,'এর পর কী ধরনের ট্যাটু করানোর কথা ভাবছেন?'
এতেই প্রায় চমকে ওঠেন ' দ্য ফ্যামিলি ম্যান'-এর অভিনেত্রী। লেখেন, 'ওরে বাবা! ট্যাটু? জীবনে এই ভুল আর নয়। যদি ছোট থাকতাম নিজেকে আটকাতাম।' এই উত্তরের প্রতিক্রিয়ায় দুঃখ বোধ করেন অনেকেই, বুঝতে পারেন অভিনেত্রীর মানসিক যন্ত্রণার কথা।
সামান্থার শরীরে অন্তত তিনটি ট্যাটু আছে যেগুলো একেবারেই তাঁর প্রাক্তন স্বামী নাগা চৈতন্যর স্মৃতি বিজড়িত। তার মধ্যে একটি ট্যাটু ঘাড়ের কাছেই, যাতে লেখা ' ইয়ে মায়া চেসভ'। যে তেলেগু ছবির সেটেই দুজনের প্রথম দেখা, এবং প্রেম। সেই ছবির গোটা স্মৃতিটাই যে কাঁধে নিয়ে ঘুরছেন সামান্থা।
দ্বিতীয় ট্যাটু অভিনেত্রীর পাঁজরের হারে। সেখানে খোদাই করা 'চৈ', যা তাঁর প্রক্তনের নামের প্রথম অক্ষর। ভাইকিং ছাঁদে লেখা সেই অক্ষরের আরেক অর্থ আবার, 'নিজের বাস্তবতা নিজেই তৈরি করো।'
আরেকটি ট্যাটু আরওই গহীনে। সে বিষয়ে বেশি কিছু জানাননি সামান্থা। তবে নাগার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণার পর পরই আগে নেট মাধ্যম থেকে তাঁদের মিলিত সফরের যাবতীয় ছবি সরিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, যতগুলো অনুষ্ঠানে একসঙ্গে গিয়েছিলেন, সেই থেকে শুরু করে বিবাহবার্ষিকী পোস্ট, ক্রিসমাসের ছবি, সব মুছে দেন তিনি! কিন্তু ট্যাটু মুছতে পারেননি নায়িকা।