ছোট পর্দায় ফিরছেন দিতিপ্রিয়া রায়। ছবি: ফেসবুক।
ছোট পর্দায় ফিরছেন দিতিপ্রিয়া রায়! শুক্রবারের সন্ধ্যায় প্রকাশিত একটি প্রচার ঝলকে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘তোমায় ভালবেসে’তে নায়িকা হয়ে ফিরছেন। টেলিপাড়ায় জোর খবর, নায়িকার নাকি নায়ক মিলছে না! তাই আপাতত প্রচার ঝলকটুকুই ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। যা দেখে সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, ‘রাণী রাসমণি’র ‘রানিমা’ এ বার এই প্রজন্মের প্রতিনিধি। প্রযোজনায় এসভিএফ।
নায়িকা ঠিক, নায়ক নেই! ব্যাপারটা কী? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নে সৃজনশীল প্রযোজক অদিতি রায় জানালেন, দিতিপ্রিয়ার বিপরীতে অভিনয়ের জন্য নাকি অভিনেতাদের লম্বা লাইন। তাঁদের মধ্যে থেকেই কেউ এক জন নির্বাচিত হবেন। তবে শেষ হাসি কে হাসবেন সেটাই দেখার। দিতিপ্রিয়া অভিনীত ধারাবাহিকের গল্পেও অভিনবত্ব। পূর্বজন্মের গল্পের সঙ্গে এই প্রজন্মের ভাবনার সহবাস। একুশ শতক আগের প্রজন্মের থেকে ভাবনায় অনেকটাই আলাদা। আগের প্রজন্ম যেন পরার্থে নিবেদিত। এই প্রজন্ম নিজেকেও ভালবাসতে জানে। বিশ্বাস করে, নিজেকে ভালবাসলে তবেই অন্যকে ভালবাসা যায়। দিতিপ্রিয়া তেমনই ভাবনায় বিশ্বাসী এক তরুণী।
কথা বলেছেন দিতিপ্রিয়াও। আবারও ছোট পর্দায়, কেন? প্রশ্ন ছিল তাঁর কাছে। দিতিপ্রিয়ার কথায়, “হাতে প্রচুর কাজ। তার পরেও রাজি হয়েছি দুটো কারণে। এক, জি বাংলার ধারাবাহিক। এই চ্যানেলের সেট, স্টুডিয়ো আমার ঘরবাড়ি বলতে পারেন।” একই ভাবে এসভিএফের সঙ্গেও একাধিক কাজ তাঁর। দুটো ক্ষেত্রেই তাই ‘ঘর ওয়াপসি’ ঘটছে। পাশাপাশি, প্রযোজনা সংস্থা কোনও চাপ না দিয়ে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে, তিনি ‘না’ বলার কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছেন না।
কবে থেকে ধারাবাহিকের শুটিং শুরু হচ্ছে? অদিতি জানিয়েছেন, এখনও বাকি অভিনেতাদের নির্বাচন হয়নি। ফলে, শুটিং শুরু হতে আগামী বছর। বছরশেষে তা হলে দিতিপ্রিয়ার পরিকল্পনা কী? খুশি হয়ে জবাব দিলেন, “জিনিসপত্র গোছাচ্ছি। মা-বাবাকে নিয়ে পুদুচেরি বেড়াতে যাচ্ছি। ৩১ তারিখ রাতে ফিরব।” ছোট্ট অবসরে টাটকা অক্সিজেন ফুসফুসে ভরে নতুন বছর থেকে পুরোদমে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন ছোট পর্দার ‘রানিমা’।