BGT 2024-25

৫০-এ পুষ্পা, ১০০-য় বাহুবলী! মেলবোর্নে নীতীশের হাত ধরে হাজির অল্লু, প্রভাস

বাঁচালেন, মাতালেনও! মেলবোর্নে নীতীশের ‘পুষ্পা’ বদলে গেল রোহিতদের ‘বাহুবলী’-তে। জনপ্রিয় দুই তামিল সিনেমা এবং তার নায়কদের কায়দায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নীতীশ বদলে দিয়েছেন মেলবোর্নের আবহ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:১৫
Picture of Nitish Kumar Reddy

অর্ধশতরান এবং শতরানের পর নীতীশ কুমার রেড্ডির উচ্ছ্বাস। ছবি : এএফপি এবং এক্স।

নীতীশ কুমার রেড্ডি স্বস্তি আনলেন ভারতীয় সাজঘরে। ক্রিকেটপ্রেমীদের মনোরঞ্জনেও খামতি রাখলেন না তরুণ অলরাউন্ডার। তাঁর শতরানের ইনিংস রোহিত শর্মাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। অর্ধশতরানের পর অল্লু অর্জুনের পুষ্পার মতো উচ্ছ্বাসে আরও কঠিন লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। প্যাট কামিন্সেরা বুঝতে পেরেছিলেন কিনা, জানা যায়নি। তবে শতরান পূর্ণ করার পর তামিল চলচ্চিত্রের আর এক নায়ক প্রভাসের বাহুবলীর কায়দায় নীতীশের উৎসব ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস দ্বিগুণ করেছে। নীতীশের উৎসবের দুই মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।

Advertisement

পুষ্পা এবং বাহুবলী — দু’টি জনপ্রিয় সিনেমার কায়দায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন নীতীশ। মেলবোর্ন টেস্টে ভারতীয় দল কোণঠাসা অবস্থা থেকে লড়াইয়ে ফিরেছে মূলত নীতীশের শতরানের ইনিংসে ভর করে। তৃতীয় দিনের শেষে ২১ বছরের অলরাউন্ডার অপরাজিত রয়েছেন ১০৫ রান করে। তাঁর ১৭৬ বলের ইনিংসে রয়েছে ১০টি চার এবং ১টি ছক্কা। মাঠে নেমে অযথা ঝুঁকি নেননি। বল বুঝে খেলেছেন। প্রয়োজনে রক্ষণ করেছেন। আবার আগ্রাসীও হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের অযথা সমীহ করেননি। তাতেই পাল্টা লড়াই পৌঁছে দিতে পেরেছেন প্রতিপক্ষ শিবিরে।

ব্যাট হাতে নীতীশের লড়াই যেমন ভারতীয় সাজঘরে স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করেছে, তেমনই তাঁর উচ্ছ্বাস প্রকাশের ধরন আলোড়ন তৈরি করেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। চাপের মুখে ৫০ রান করার পর নীতীশকে দেখা গিয়েছে পুষ্পার অল্লুর কায়দায়। বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন হার মেনে নেওয়ার পাত্র তিনি নন। মেলবোর্নের ২২ গজে নাগাড়ে জোরে বোলিং করে তাঁকে ভয় পাওয়ানো যাবে না। একই সঙ্গে আরও কঠোর লড়াইয়ের বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন কামিন্সদের শিবিরে।

জনপ্রিয় তামিল সিনেমা পুষ্পার অতি পরিচিত মুদ্রা কামিন্সের হয়তো বোঝেনি। বা বুঝলেও সুবিধা করতে পারেননি। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন নীতীশ। পুষ্পা থেকে বিদেশের মাটিতে হয়ে উঠেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের বাহুবলী। শতরান পূর্ণ করার উচ্ছ্বাসে তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন নীতীশ। সেই বার্তা হয়তো বুঝবেন কামিন্সেরা। দিনের খেলার শেষে হোটেলে ফিরে বুঝতে পারবেন নীতীশের জোড়া উচ্ছ্বাস প্রকাশের অর্থ। তাঁরা বুঝবেন পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর।

অন্ধ্রপ্রদেশের ক্রিকেটার নীতীশ সময় পেলেই সিনেমা দেখেন। দক্ষিণী সিনেমার ভক্ত তিনি। পুষ্পা বা বাহুবলীতে অল্লু এবং প্রভাসের মুদ্রার অর্থ তাঁর অজানা নয়। তাই অর্থশতরান এবং শতরান পূর্ণ করার পর সেই মুদ্রাই ব্যবহার করেছেন তিনি। দলকে স্বস্তি দেওয়ার পর ক্রিকেটপ্রেমীদের অতিরিক্ত মনোরঞ্জন করেছেন তরুণ ক্রিকেটার। তাঁর মাধ্যমেই মেলবোর্নে হাজির হয়েছেন দুই জনপ্রিয় অভিনেতা।

Advertisement
আরও পড়ুন