অপরাজিতা আঢ্য ছবি: ফেসবুক।
বরাবর ঈশ্বরভক্ত তিনি। দুর্গাপুজোয় অংশ নেন। বাড়িতে বড় করে লক্ষ্মীপুজো করেন। প্রায়ই আরাধ্য দেবতা মহাদেবকে পুজো দিতে অক্ষরধাম যান। এ বছরের জন্মাষ্ঠমীতে কী করছেন অপরাজিতা আঢ্য? কারণ, ৯ অগস্টের রাত থেকে আরজি কর-কাণ্ডে বদলে গিয়েছে শহরের আবহ। বদলে গিয়েছে শহরবাসীর মানসিকতাও। নারীর সঙ্গে লাগাতার ঘটে চলা নারকীয় ঘটনা দেখতে দেখতে একটু হলেও কি টলে গিয়েছে অভিনেত্রীর বিশ্বাসের ভিত?
আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল অপরাজিতার কাছে। এ দিন তিনি বিশেষ কাজে সকাল থেকে কৃষ্ণনগরে। বললেন, “আমরা শাক্ত। গুরুদেবের থেকে শিব সেবার দীক্ষা নিয়েছি। চণ্ডীপাঠের অধিকারী আমি। আমাদের বাড়িতে তাই শ্রীকৃষ্ণ আরাধ্য নন।” জানান, তাঁর মায়ের বাড়িতে শ্রীকৃষ্ণের পুজো হয়। মা প্রয়াত। দাদার সদ্য বিয়ে হয়েছে। তাঁরাই জন্মাষ্টমী পালন করবেন। এ ছা়ড়া, সত্যনারায়ণের পুজোও হবে। বিকেলে সেই পুজোয় উপস্থিত থাকবেন অপরাজিতা। ঈশ্বরভক্তি সম্বন্ধে তাঁর মত, “বিশ্বাস একটুও টলেনি। বরং তাঁকেই বেশি করে আঁকড়ে ধরছি। কারণ আমি মনে করি, ঈশ্বর ছাড়া গতি নেই।”
বাবার বাড়ির পুজোয় উপস্থিত থাকবেন। অংশও নেবেন হয়তো। প্রার্থনা কী জানাবেন? প্রয়াত তরুণী চিকিৎসকের জন্য ন্যায়বিচার?
অভিনেত্রীর কথায়, “শুধুই এক নারীর জন্য নয়, নারীজাতির জন্য ন্যায় চাইব। চাইব, আমরা যেন প্রত্যেকে প্রতিদিন নিরাপদ, সুস্থ থাকি।” অপরাজিতা এ দিন ন্যায় চাইবেন মৃতা, অন্তঃসত্ত্বা হস্তিনীর জন্যও। তাঁর দাবি, সে-ও অন্যায়, অত্যাচারের স্বীকার। তিনি অস্বীকার করতে পারেন না, ছেলে খারাপ হলে তার কিছুটা দায় মায়ের উপরেও বর্তায়। তাই উদ্যাপনের দিনে তাঁর ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা, সকলের চৈতন্য হোক।