Ameesha Patel

ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি নাকি বেমানান! কেরিয়ারের শুরুতেই অমিশাকে এমন মন্তব্য শুনতে হত কেন?

বলিউডে ‘কহো না প্যার হ্যায়’ তাঁর প্রথম ছবি। প্রথম ছবিতেই সফল। তবুও অভিনেত্রীকে কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩ ১৩:৩৩
Ameesha Patel

অমিশা পটেল। ছবি: সংগৃহীত।

দু’দশকেরও পর পর্দায় ফিরছে তারা সিংহ এবং সাকিনার জুটি। আগামী মাসে মুক্তি পাবে সানি দেওল এবং অমিশা পটেল অভিনীত ‘গদর ২’। এই ছবির মাধ্যমেই আরও এক বার নিজের কেরিয়ারে ভাগ্যাণ্বেষণে নামছেন অমিশা।

কেরিয়ারের শুরুতে চূড়ান্ত সফল হওয়ার পরেও এক সময় প্রচারের আলো থেকে দূরে সরে যান এই অভিনেত্রী। সাধারণত অভিনেতাদের অভিনয় সত্তার আড়ালে তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ঢাকা পড়ে যায়। অভিনয়ে আশার আগে অমিশা কিন্তু তাঁর শিক্ষা সম্পূর্ণ করেছিলেন। যার জন্য কেরিয়ারের শুরুতে তাঁকে প্রায়শই বিশেষ একটি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হত। সম্পতি একটি সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন অভিনেত্রী। ‘কহো না প্যার হ্যায়’ খ্যাত অভিনেত্রী বলেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার পর সাংবাদিকদের তরফে একটাই প্রশ্ন আসত, ‘আপনার কি নিজেকে এখানে বেমানান মনে হয় না?’’

Advertisement

এই প্রশ্নের পিছনেও অবশ্য কারণ রয়েছে। দাদু রজনী পটেল ছিলেন রাজনীতিক এবং ব্যারিস্টার। বরাবরই ভাল ছাত্রী ছিলেন অমিশা। আমেরিকার বস্টনে বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে শুরু করেন। কিন্তু তা শেষ না করেই অর্থনীতিতে স্নাতক হন। পড়াশোনার শেষে বিদেশে চাকরিও করেন। কিন্তু দেশের ফিরে নাটকদের দলে নাম লিখিয়ে অভিনয়ের ঝোঁক বাড়ে অমিশার। অভিনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘‘শিক্ষিত ব্যক্তি কি শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে না? কারণ অভিনয় তো আমার কাছে শিল্পই।’’

ছোট থেকেই জেদি ছিলেন অমিশা। জীবনকে নিজের মতো করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরিবারের বিরুদ্ধাচারণ করেছি। পরিবার লন্ডনে ছিল বলে, তাঁরা চেয়েছিলেন আমি যেন সেখানেই পড়াশোনা করি।’’ কিন্তু নিজের পায়ে দাঁড়াবেন বলেই অমিশা লন্ডনের পরিবর্তে পড়াশোনার জন্য আমেরিকাকে বেছে নেন। এই স্বভাবের জন্যই কেরিয়ারে একাধিক ছবিও ছেড়েছেন বলে জানিয়েছেন অমিশা।

Advertisement
আরও পড়ুন