রুবেল দাসের কেন এমন ছদ্মবেশ? নিজস্ব চিত্র।
ইন্দ্রপুরী স্টুডিয়ো মঙ্গলবার সকাল থেকে গমগম করছে। উৎসব পর্বে আপাতত ইতি। ফ্লোরে ফ্লোরে জোরকদমে চলছে মেগার শুটিং। সেখানেই নজর কেড়েছেন এক প্রৌঢ়। লম্বা-চওড়া চেহারা। এক মাথা কাঁচা-পাকা চুল। মুখ ভর্তি দাড়ি-গোঁফ। কপালে সিঁদুরের তিলক। সাদা ধুতি, নীল পাঞ্জাবি, সঙ্গে উত্তরীয়। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। আপাত নিরীহ দেখতে এই প্রৌঢ় জি বাংলার ধারাবাহিক ‘নিমফুলের মধু’র দত্ত বাড়ির সামনে ঘুরঘুর করছিলেন। তাঁকে নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তিনি কে, কোথা থেকে এসেছেন? প্রশ্ন উঠেছে। এ-ও চর্চায়, দত্ত বাড়িতে নাকি অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, এই অপরিচিত ব্যক্তি কোনও ভাবে সেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় তো?
কে এই ব্যক্তি? কী তাঁর পরিচয়? কেনই বা তিনি সকাল থেকে ধারাবাহিকের সেটে ঘোরাফেরা করছেন?
স্টুডিয়ো ফ্লোরে উপস্থিত আনন্দবাজার অনলাইন এই বিষয়ে খোঁজ নিতেই সমস্ত পরিষ্কার। জি বাংলার ধারাবাহিক ‘নিমফুলের মধু’র দত্ত বাড়ির ছেলে-বৌমা সৃজন-পর্ণা। সম্প্রতি, তাদের মেয়ে পুঁটি অপহৃত। তারই খোঁজে ছদ্মবেশ ধরেছেন ধারাবাহিকের প্রায় প্রত্যেক সদস্য। পুঁটিকে খুঁজতে একই চ্যানেলের আরও একটি ধারাবাহিক ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’র নায়ক ‘অনিকেত’ ওরফে রণজয় বিষ্ণু শিব সেজেছেন! সকলে নিজের মতো করে একরত্তি মেয়েকে খুঁজতে প্রচেষ্ট। ওই উড়িয়া ব্রাহ্মণের সাজে সেজে থাকা ব্যক্তিটিও দত্ত বাড়ির অন্যতম সদস্য। পুঁটিকে খুঁজতে তাঁর ওই বেশ। তিনিও কি দত্ত বাড়ির কেউ?
আলোচনার ফাঁকে ছদ্মবেশধারী ওই ব্যক্তি হাসিমুখে সামনে দাঁড়াতেই যাবতীয় রহস্য ফাঁস ওই অচেনা উড়িয়া ব্রাহ্মণ আর কেউ নন, তিনি ‘সৃজন’ ওরফে রুবেল দাস। ধারাবাহিকের নায়ক। অপহৃত মেয়েকে খুঁজবেন বলেই চিত্রনাট্যের দাবি মেনে এই বেশ ধারণ করেছেন। যদিও ধারাবাহিকের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির দাবি, রূপটান নেওয়ার পরে রুবেলকে কেউ নাকি চিনতে পারছিলেন না! অভিনেতার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে পাশ দিয়ে হেঁটে চলে গিয়েছেন অনেকে।