শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘পাঠান’ ছবি নিয়ে এ বার মুখ খুললেন ঋত্বিক। ছবি: সংগৃহীত।
শীত এসেছে। গাজরের মরসুম। ক্যামেরার সামনে চিবিয়ে চিবিয়ে গাজর খেলে কি আপত্তি উঠতে পারে? অত্যন্ত ‘প্রাসঙ্গিক’ প্রশ্নটি বড়দাকে করে বসেছে তার ‘হাতের বাইরে চলে যাওয়া’ পুতুল। কেন? জিজ্ঞাসা করেছিলেন ‘বড়দা’, অর্থাৎ ঋত্বিক চক্রবর্তী। সাদার মধ্যে কালো ডোরা বাঘ-পুতুল হালুম করে মনে করিয়ে দিল, “আরে বড়দা! গাজরের রংটা ভাবো! কী একটা গানে ব্যবহৃত হয়েছে, তা নিয়ে খুব ঝামেলা হচ্ছে। কোনও মানে হয় বলো?” এ পর্যন্ত বলতেই তাকে থামানোর চেষ্টা করেন ঋত্বিক। কিন্তু কে কার কথা শোনে!
প্রতিবাদ করলেই বিতর্ক। তাই বলে চুপ করে থাকাও যে মুশকিল। ইদানীং পুতুলই কথা বলে দেয় ‘সাবধানী’ ঋত্বিকের হয়ে। কিছু দিন আগেই পরেশ রাওয়ালের ‘বাঙালির মাছ’ কেলেঙ্কারির পর পুতুলের মুখ খুলে ‘পার্শে’, ‘বোয়াল’ ইত্যাদি বেরোতে থাকে। এ বার বেরোল রং! অর্থাৎ ‘বেশরম রং’।
শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ‘পাঠান’ ছবি নিয়ে এখন তুমুল জলঘোলা হচ্ছে। সে সব অর্থহীন বলেই মনে হচ্ছে পুতুলের। সোমবার ‘বড়দা’র ভেন্ট্রিলিক্যুইজ়মের নতুন পর্বে পুতুল প্রশ্ন তোলে, “আচ্ছা বড়দা, রঙের আবার শুভ অশুভ, রাজনীতি হয় নাকি?”
‘বড়দা’ তখন অপ্রস্তুত। তবে পুতুলের কথায় বোঝা যায়, আগেরটা ছিল ভূমিকা। আসল চমক এর পরেই। পুতুল বলে, “আমার এক বন্ধু আছে, তুমি কিন্তু ওর রং নিয়ে আবার কিছু বলো না।” সে আবার কী! কোথায় বন্ধু? চমকে ওঠে ‘বড়দা’। এর পরই ফ্রেমে চলে আসে আর এক অদ্ভুতদর্শন পুতুল।
গেরুয়া দেহ, মাথায় সবুজ ঝাঁকড়া চুল! সেটিকেই নতুন বন্ধু বলে পরিচয় দিচ্ছিল বাঘ-পুতুল। সবুজ আর গেরুয়া দুই রঙই আছে যার দেহে, তাকে নিয়ে কোনও দিকে বিতর্ক গড়ালে গড়াক— হাবেভাবে সে কথাই বলতে চাইল পুতুল। নতুন বন্ধু অবশ্য শুধু চোখ বড় বড় করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েই চলে যায়। তার মুখে কথা নেই।
ঋত্বিকের বানানো এই ছোট্ট ছোট্ট ভিডিয়োগুলি ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয়। প্রায়শই সেই ‘বেলাগাম’ পুতুল নিয়ে হাজির হন ঋত্বিক চক্রবর্তী। পুতুল মনে যা আসে, বলে যায়। ঋত্বিকও মজা করে বলছেন, তাঁর হাতের পুতুলটি পুরোপুরি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। কোন দিন পুতুল যে কী বলে উঠবে, আগে থেকে ধারণা করা যাবে না। ঋত্বিক নিজেও নাকি জানেন না! ব্যাপারটা কী? আনন্দবাজার অনলাইন কৌতূহল প্রকাশ করেছিল ‘বড়দা’র কাছে।
অভিনেতা বললেন, ‘‘করতে ভাল লাগে, তাই করি। টাইম পাস। অত গুরুত্ব দেওয়ার মতো বিষয়ই নয়। টিপ্পনী বলা যায়। কেউ বোঝেন, কেউ বোঝেন না। আর বোঝার মতো তেমন কিছু বলেও না তো পুতুল। আবার হয়তো বলেও।’’ তবে সে কথার দায় ঋত্বিক নিতে রাজি নন। ওগুলো তো আর তাঁর কথা নয়, পুতুলের কথা।