কৃষভিকে কোলে নিয়ে শ্রীময়ী চট্টরাজ, কাঞ্চন মল্লিক। ছবি: ফেসবুক।
বছরশেষে একরত্তিকে কোলে নিয়ে পেলিং, দার্জিলিং ঘুরে এলেন দিব্যি। নতুন বছরে অবশেষে কৃষভিকে প্রকাশ্যে আনলেন কাঞ্চন মল্লিক, শ্রীময়ী চট্টরাজ। গোলাপি পশমের পোশাকে কৃষভিকে কোলে নিয়ে কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজ। যদিও তাঁরা মেয়ের মুখ দেখাননি। পাশে দাঁড়িয়ে শ্রীময়ীর মা। মেয়ের সঙ্গে রংমিলন্তি অভিনেত্রীর মা। গোলাপি শাড়িতে নিজেকে সাজিয়ে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে শুভেচ্ছা জানালেন সকলকে। বললেন, “ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা জানাই, অতীতের সব খারাপ সরে যাক। ২০২৫-এ নতুন করে জীবন কাটান।”
যদিও শ্রীময়ীর ইচ্ছে ছিল অন্য। আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “ইচ্ছে ছিল নতুন বছরের সূচনা মুহূর্তে অর্থাৎ মধ্যরাতে মেয়ের ছবি দেব। কাঞ্চনও সায় দিয়েছিল। কিন্তু বাড়ি ফিরতে রাত হয়ে গেল। এসে দেখি মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি।” হাসতে হাসতে জানালেন, মা নিজেও সাজতে ভালবাসে। মেয়েকেও তাই মনের মতো করে সাজিয়েছেন। নতুন বছরে মা-বাবার কোলে চেপে বেড়াতে বেরোবে কৃষভি? “কোনও সম্ভাবনাই নেই। বড্ড ছোট। আগামী বছরে নিশ্চয়ই আমাদের সঙ্গে উদ্যাপনে যোগ দেবে।”
মেয়ে বাড়িতে। মা-বাবা যদিও সকাল থেকে বাইরে। সন্তান-পরিবারের মঙ্গলকামনায় ব্যস্ত। শ্রীময়ী বলেছেন, “প্রতি বছর এই দিনে উপোস করে উদ্যানবাটীতে যাই আমরা। শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের আশীর্বাদ নিই, পুজো দিই। তার পর দক্ষিণেশ্বরে।” সেখানেও পুজো দেন তাঁরা, ভোগ খান। সবশেষে কালীঘাট মন্দিরে। ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে সোজা বাড়িতে। বাকি সময় মেয়ের জন্য তোলা। রাতে কবজি ডুবিয়ে পাঠার মাংস আর ভাত।
নতুন বছরে কোনও নতুন প্রতিজ্ঞা? “অবশ্যই নিয়েছি। সমস্ত নেতিবাচকতা, এই মানসিকতার মানুষ এবং তাঁদের কটাক্ষকে আবর্জনার বাক্সে ফেলে সতেজ মন নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। নিজে ভাল থাকব। সবাইকে ভাল রাখার চেষ্টা করব।”