রাজনন্দিনী পাল। ছবি-সংগৃহীত।
আজ চিনির জন্মদিন। রাজনন্দিনীকে আমরা সবাই চিনি বলে ডাকি। ওকে অনেক ছোটবেলা থেকে চিনি, কারণ ইন্দ্রাণী কাকিমাদের সঙ্গে আমাদের পরিবারের খুব ভাল সম্পর্ক।
ওর জন্মদিনের পার্টিতেও বহু বার গিয়েছি। মনে আছে এক বার খুব বড় করে জন্মদিন পালন করেছিল চিনি। সকলের সঙ্গে খুব আনন্দ করেছিল। মানুষ হিসেবেও খুব ভাল চিনি। যে হেতু অনেক ছোটবেলা থেকে ওকে চিনি, তাই ওর সঙ্গে বহু স্মৃতিও আছে।
যেমন মনে আছে, ও যখন অনেক ছোট, ইন্দ্রাণী কাকিমা ওকে খাইয়ে দিত আর ও থম বসে থাকত। ইন্দ্রাণী কাকিমা আস্তে আস্তে ওর গালে খাবার ঢুকিয়ে দিত। সেই অভ্যেস ওর এখনও রয়ে গিয়েছে। দেখেছি ও কারও সঙ্গে বসে খাবার খেতে পারে না। খাওয়ার আগে সকলের সঙ্গে আড্ডা মারে। কিন্তু খাওয়ার সময় ও আলাদা হয়ে যায়। একা একা বসে কিছু একটা দেখতে দেখতে খাবার খায়।
‘সম্পূর্ণা’ সিরিজ়ের সেটেও এমন দেখেছিলাম। খাবারের দিকে ওর মন থাকে না। ফোনের দিকে তাকিয়ে থেকে কোনও রকমে খায়। আমি বলতাম, “কী করছিস? খাবারের থেকে ফোনে এমন গুরুত্বপূর্ণ কী আছে?”
আর ও কিন্তু বিরিয়ানি খেতে খুব ভালবাসে। আমিও বিরিয়ানির ভক্ত। থালায় বিরিয়ানি সাজিয়ে, সেটা বালিশের উপর রেখে, এসি চালিয়ে, টিভি বা মোবাইলে কিছু দেখে ও। ওই সময়টা ওকে কেউ বিরক্ত করতে পারবে না। ছোটবেলা থেকে ওর এই বিষয়টা দেখে আমার খুব মজা লাগে। জানি না কেন ও কারও সামনে খেতে পারে না, লুকিয়ে লুকিয়ে খায়!
রাজনন্দিনী এমনিতে কিন্তু দুষ্টু। কিন্তু কাজের সময় ও শান্ত হয়ে যায়। এটা আমি ‘সম্পূর্ণা’র সময় দেখেছি। ওর মধ্যে একটা অদ্ভুত পরিণত বোধ দেখেছিলাম। সময়ের সঙ্গে ওর চোখেমুখেও একটা শান্ত ভাব চলে এসেছে। তবে ওর রসবোধ সাংঘাতিক। অনেকে এই জন্য ওর উপর রেগে যান। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেন না, ও স্রেফ মজা করছে।
যেমন, ‘সম্পূর্ণা’র সেটে নতুন কেউ এলে তাঁর সঙ্গে নিজেই গিয়ে পরিচয় করত। আবার কিছু ক্ষণ পরেই সেই ব্যক্তিকে চিনতে পারত না। এটা কিন্তু ও মজা করে করত। এই সব নিয়ে আমরা খুব হাসাহাসি করতাম।
চিনি আমার খুব প্রিয় সহ-অভিনেত্রী। ওর সঙ্গে কাজ করতে খুব ভাল লাগে। অভিনয় ও নাচ দুই ক্ষেত্রেই ও অনেক দূর যাবে। এমনকি বাংলার বাইরেও ওর কাজ করা উচিত। ‘উড়নচণ্ডী’র সময় থেকে আমরা দু’জন একসঙ্গে কাজ শুরু করি। তখনও বলেছিলাম, আজও বলব, ও ভবিষ্যতের তারকা। আর এই জন্মদিনটাও যেন খুব ভাল কাটায় ও।