কালীঘাটে মিমি চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।
শনিবারের কালীঘাট এমনিই জনবহুল। এই শনিবার তাতে বাড়তি যোগ ‘দুষ্টু কোকিল’ গান! খবর ছড়িয়েছিল, ভরা বর্ষাতেই সকাল সকাল সেখানে দুষ্টু কোকিলের ডাক শোনা যাবে। কারণ? এ দিন দেবীর থানে মিমি চক্রবর্তীর উপস্থিতি। শুক্রবার বাংলায় মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন ছবি ‘তুফান’। বাংলাদেশে তুফান তোলার পর কলকাতাতেও যাতে ঝড় বয়ে যায় সেই প্রার্থনা নিয়েই কি তিনি দেবীদর্শনে? প্রশ্ন শুনেই শাকিব খানের নায়িকার মুখে চিলতে হাসি। মিমি মাথা নেড়ে জানালেন, কিছুই চাননি তিনি। দেবীর কাছে শুধুই আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছেন।
এ দিন কালীঘাটে নায়িকার ঝটিকা সফর। কথা ছিল তিনি মন্দিরের ১ নম্বর প্রবেশদ্বার দিয়ে ভিতরে আসবেন। পরে সেই পথ বদলে তিনি মন্দিরের ভিতরে ঢোকেন ৪ নম্বর প্রবেশদ্বার দিয়ে। রানি রঙের সালোয়ারে নিজেকে সাজিয়েছিলেন তিনি। গায়ে জড়ানো একই রঙের ওড়না। তার উপরে পুরোহিতদের দেওয়া পুজো করা লাল কাপড়। গর্ভগৃহে তখন শুধুই মিমি আর পুরোহিতেরা। প্রথমে শিবের পুজো সারেন। তার পর মন্ত্র পড়ে অঞ্জলি দেন দেবীর উদ্দেশে। পুরোহিত তত ক্ষণে তাঁর কপালে লাল টিপ এঁকে দিয়েছেন। নিজের হাতে আরতি করেন নায়িকা। দেবীকে ছুঁয়ে প্রণাম সারেন। বাইরে ইতিমধ্যেই খবর ছড়িয়েছে, একটু পরেই বেরিয়ে আসবেন প্রিয় অভিনেত্রী। কেবল এক ঝলক দেখার জন্য রোদ, ভিড় উপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে নানা বয়সের অনুরাগী।
মিমি বেরোতেই তাঁকে ঘিরে নিজস্বী তোলার ভিড়। মিমি হাসিমুখে কয়েক জনের আবদার মেটান। তার পরেই দ্রুত দূরে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির উদ্দেশে পা চালান। যেতে যেতে উপস্থিত সাংবাদিকদের হাতে প্রসাদ তুলে দেন। বলেন, “মা জানেন, আমার কী প্রার্থনা। তাই আলাদা করে কিছু চাইনি। জানি, ঠিক প্রার্থনা পূরণ হবে।”