অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা।
নেটমাধ্যম বলছে, রিল ভিডিয়ো বানিয়ে! কখনও অঙ্কুশ হাজরা মজাদার ভঙ্গিমায় একাই আসর মাত করছেন। কখনও সঙ্গী ঐন্দ্রিলা সেন। খবর, রাজা চন্দের ‘ম্যাজিক’-এর ম্যাজিক্যাল সাফল্য উপভোগ করতে জুটিতে ছুটি কাটাতে উড়ে গিয়েছেন মলদ্বীপ। সেখানেই করোনায় আক্রান্ত অভিনেত্রী। অখণ্ড অবসর কাটাতে তাই কি রিল ভিডিয়ো বানাচ্ছেন যুগল?
নেটমাধ্যম বলছে, এক নয়, একাধিক ভিডিয়ো বানিয়েছেন ২ জনে। ভিডিয়োগুলো যথারীতি ভাইরাল। প্রথম ভিডিয়ো অঙ্কুশ শেয়ার করেছিলেন দিন তিনেক আগে। এক ঢিলে একাধিক পাখি যেন মেরেছেন তাতে! কী ভাবে? বিখ্যাত বলিউডি গান ‘দিল কিঁউ ইয়ে মেরা শোর করে’ বেছে নিয়েছিলেন অভিনেতা। ওই গানের মধ্যে দিয়ে যেন রাজনীতির আঙিনায় দলবদলকেই ফের কটাক্ষ করলেন তিনি। নিন্দুকদের দাবি, ‘ইধার নহি উধার নহি তেরি ঔর চলে’ লাইনে কমেডির মোড়কে অঙ্কুশের মুখভঙ্গি সে দিকেই ইঙ্গিত করেছে। আবার কেউ সোজাসুজি দেখলে মনে করবেন, তিনি ঐন্দ্রিলার কথা বোঝাচ্ছেন। কিংবা অনুরাগীদের প্রতি তাঁর অনুরাগকেই সামনে এনেছেন।
ক্যাপশনে খুব শিগগির এ রকমই ‘টাইম পাস’ করার আরও উপকরণ নিয়ে ফিরবেন, এমন কথাও দিয়েছিলেন অঙ্কুশ।
কথা রেখেছেন অভিনেতা। এ বার ঐন্দ্রিলার সঙ্গে অঙ্কুশের যুগলবন্দি, ‘সাজন’-এর বিখ্যাত গান ‘তুম সে মিলনে কি তমন্না হ্যায়’ দিয়ে। আরেক প্রস্থ কমেডি দেখে দারুণ খুশি নেটাগরিকেরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভিডিয়োর ভিউ ৩০ হাজারের উপর।
যেখানেই অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা ছুটিতে বেড়াতে গিয়েছেন, সেখানকার খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন। যেমন, এ বার যে হোটেলে উঠেছেন সেই হোটেলে ১ গ্লাস লেমোনেডের দাম নাকি ভারতীয় মুদ্রায় হাজার টাকা! শুনে হতভম্ব তিনি। অনুরাগীদের প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, লেমোনেডের মধ্যে কি হিরে, জহরত লুকোনো? নইলে এত দাম কেন ১ গ্লাস সরবতের! তার পরেই সেই সরবতের ছবি দিয়ে ক্যাপশন, ‘সরবতের মধ্যে লুকোনো হিরে খুঁজছি!’ রসিকতা করে ডুকরে উঠে মাকেও ডেকেছেন, ‘কেন জানি না মাকে ভীষণ মনে পড়ছে। মা... ও মাগো!’
সুযোগ পেলে এ ভাবেই নিজেকে নিয়ে রসিকতায় মাতেন অঙ্কুশ। তবে সরবতের দাম জানানোর পাশাপাশি প্রাণ খুলে হোটেলের প্রশংসাও করেছেন অভিনেতা।