ফাইল চিত্র।
এ রকম খবর যেন তৈরি না হয়। রাতে চুপ করে বসে আছি। এই তো বেশ কয়েক দিন আগে বঙ্গবাসী কলেজের উৎসবে ওই নজরুল মঞ্চেই অনুষ্ঠান করে এলাম। কী এমন হল ওর? এই অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াচ্ছি। কেকে.. .
প্রাণবন্ত ছেলে। গানপাগল ছেলে। ওকে কেউ কোনও দিন রিয়্যালিটি শো-এ দেখেনি। ও যাবেই না। গান নিয়ে যেখানে রাজনীতি হচ্ছে, সেখান থেকে সরে আসবে। ও গান গেয়ে কিছু হতে চায়নি। ওর গানই ওকে বিশ্বে জনপ্রিয় করেছে। ড্রাম আর পিয়ানো বাজলেই যে শুধু গান হয় না, সেটা কেকে ওর গলার মেজাজ দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিল। আমি, উদিত, শানুর পরে আমাদের একমাত্র যোগ্য উত্তরসূরি ছিল কেকে। আমি তো বরাবর সোজা কথা বলি। আমি ওকেও বলেছিলাম আমার পরে গান নিয়ে যদি কথা বলতে হয়, তা হলে সেখানে শুধু কেকের নাম থাকবে। ও যদি সত্যি চলে গিয়েই থাকে, তা হলে এমনও নয় যে, ও চলে যাওয়ার পর ভাল ভাল কথা বলছি।
সত্যি কী চলে গেল? কী এমন হল? গানের ইন্ডাস্ট্রিতে ইদানীং কত নোংরামি। শুনতে পাই কারা নাকি শুকনো নেশা না করে মঞ্চে উঠতেই পারে না! কার নাকি ড্রাগ না নিলে গান আসে না। কত বেসুরো চোখের সামনে গায়ক হয়ে উঠল! সব দেখছি। আর তার পাশে কেকে-কে দেখেছি। ওর বয়স যা-ই হোক, কথায়-আচরণে, গানে ও যুবক। তবেই না বিশ্বের তরুণরা ওর আধুনিক গানে মেতে উঠেছে। ওর শরীরের মধ্যে দিয়ে 'আধুনিক সঙ্গীত' জন্ম নিয়েছে যা পুরোপুরি কণ্ঠ নির্ভর। কেবল বিভিন্ন রকমের যন্ত্র বাজিয়ে গেলাম, তা দিয়ে আর যা-ই হোক গান হয় না। কেকে সেটা দেখিয়ে দিয়েছে। কোনও দিন কোনও বিরূপ মন্তব্য, বিতর্ক, কিচ্ছু করেনি। শুধু গানের ভিতর দিয়ে জীবনকে দেখেছে। এমন তরতাজা প্রাণ পৃথিবী থেকে আচমকা উধাও হয়ে যাবে? সব শেষ হয়ে আসছে আমাদের...