KK

Singer KK Dies: ২২ বছরের বন্ধু অন্তিম শয্যায়! এই দৃশ্যও আমায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হচ্ছে?

সব মিলিয়ে ৫৪-তেও তরতাজা যুবক। সেই মানুষটা কী করে বিনা নোটিসে ‘নেই’ হয়ে যেতে পারে?

Advertisement
জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২২ ০১:৪৩

ফাইল চিত্র।

খবরটা শোনার পরে বিশ্বাস করতে পারিনি। কী বলছেন সবাই? কী খবর শোনাচ্ছে সংবাদমাধ্যম? আমার ২২ বছরের বন্ধু কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ আর নেই! একটা সময় জানলাম খবরটা সত্যিই। কলকাতাকে শেষ গান শুনিয়ে বিদায় নিয়েছে আমার বন্ধু, সবার প্রিয় কেকে। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে গিয়েছি হাসপাতালে। যদি শেষ মুহূর্তে আশ্চর্য কিছু ঘটে!

ঘটল না। আমার ২২ বছরের বন্ধু হাসপাতালের শয্যায় চিরঘুমে আচ্ছন্ন। বাইরে দাঁড়িয়ে আমায় সেটা দেখতে হচ্ছে! এটাও ঘটার ছিল?

Advertisement

ওর সঙ্গে আলাপ ২০০০ সালে। প্রথম দিন থেকে আমাদের হৃদ্যতা। খুব নিয়ম মেনে চলত কেকে। ঘড়ি ধরে ওঠা, বসা, খাওয়া, ঘুম। ঠিক যে ভাবে নিয়ম মেনে গানের রেওয়াজ করত। আবার শরীরচর্চার জন্যও আলাদা সময় বরাদ্দ ছিল। সব মিলিয়ে ৫৪-তেও তরতাজা যুবক। সেই মানুষটা কী করে বিনা নোটিসে ‘নেই’ হয়ে যেতে পারে?

একই প্রশ্ন ফোনে বার বার আমায় জিজ্ঞাসা করছেন ওঁর স্ত্রী। বৌদিকে কী জবাব দেব? অনেকেই বলছেন, এক জন শিল্পীর নাকি এর থেকে ভাল মৃত্যু আর হয় না। সুরের হাত ধরেই সুরলোকে পাড়ি জমালেন কেকে। আমি মানতে পারছি না। আমার বহু হিন্দি, বাংলা গানের গায়ক ও। সেই সব গান তৈরির সময়ের অজস্র স্মৃতি। সব ফেলে রেখে চলে গেল। আর রেখে গেল এক মুঠো জনপ্রিয় গান। ‘তড়প তড়পকে কে ইস দিল সে’ (হাম দিল দে চুকে সনম), ‘আঁখো মে তেরি’ (ওম শান্তি), ‘তুনে মারি এনট্রিয়া’ (গুণ্ডে), ‘তু যো মিলা’ (বজরঙ্গি ভাইজান), ‘ডোলা রে’ (দেবদাস), ‘হামকো প্যায়ার হুয়া’ (রেডি)র মতো গান আর কে গাইবে কেকে?

Advertisement
আরও পড়ুন