বলিউড অভিনেত্রী রাহুল রায়। ছবি: সংগৃহীত।
বড় পর্দায় দর্শকের নজর কেড়েছিলেন ‘আশিকি’ ছবির মাধ্যমে। বলিউডে পা রেখে প্রথম ছবিতে সাড়া জাগিয়েও অভিনেতা হিসাবে তেমন ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি রাহুল রায়। নব্বইয়ের দশকে একের পর এক ছবিতে কাজ করলেও তেমন ভাবে দর্শকের মনে দাগ কাটতে পারেনি কোনও ছবিই। ২০০৬ সালে ‘বিগ বস্’ রিয়্যালিটি শোয়ে অংশগ্রহণ করেন রাহুল। সেই শো জিতে এক কোটি টাকা উপার্জনও করেন রাহুল। তবে ২০২০ সালে হঠাৎ করে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসার খরচ জোগানোর মতো টাকা ছিল না তাঁর কাছে। সেই সময় তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বলিউডেরই এক তারকা। কে তিনি?
২০২০ সালে ‘এলএসি– লিভ দ্য ব্যাটল ইন কার্গিল’ ছবির শুটিং চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন রাহুল। সেই সময় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল ওকহার্ডট হাসপাতালে। তার পরে মুম্বইয়ের নানাবতী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। সেখানে আইসিইউয়ে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল রাহুলকে। স্বাভাবিক ভাবেই, হাসপাতালে চিকিৎসার খরচও বেড়েছিল সেই অনুপাতে। সেই টাকা দেওয়ার মতো সামর্থ্য ছিল না রাহুলের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাহুলের বোন প্রিয়ঙ্কা জানান, সেই সময় পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বলিউড তারকা সলমন খান। হাসপাতালের খরচের যা কিছু বাকি ছিল, সব টাকা মিটিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা জানান, রাহুলের অসুস্থতার খবর পেয়ে সলমন ফোন করেছিলেন তাঁদের। তিনি নিজেই নাকি আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি যে তাঁদের এত বড় সাহায্য করেও তা সংবাদমাধ্যমের কাছে বলে বেড়াননি, তাতে মুগ্ধ প্রিয়ঙ্কা। প্রিয়ঙ্কার মতে, সলমনের এই গুণই তাঁকে তারকা বানিয়েছে।
প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে একমত রাহুলও। ওই সাক্ষাৎকারেই রাহুল বলেন, ‘‘অনেকেই সলমন খানের বিষয়ে অনেক কথা বলেন। তবে আমি মনে করি, সলমন খানের মতো মহান পরোপকারী মানুষ খুব কম হয়।’’ প্রিয়ঙ্কা জানান, সুস্থ হয়ে ওঠার পর কাজ করতে চাইলে রাহুলকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও করতে বলেছেন সলমন।