হেমন্ত মুখোপাধ্যায়।
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় মানেই চিরবসন্ত। মৃত্যুর ৩৩ বছর পরেও শিল্পী সমান প্রাসঙ্গিক। সলিল চৌধুরীর মতো গীতিকার-সুরকার তাঁর কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘ঈশ্বর নিজে গান গাইলে হয়তো হেমন্তের মতো গলা হত তাঁর।’’ ছায়াছবির গান হোক বা আধুনিক কিংবা রবীন্দ্রসঙ্গীত— সব গানেই সমান সাবলীল। স্পষ্ট উচ্চারণ এবং রোম্যান্টিক গায়কি হেমন্তকে চিরকালের মতো গেঁথে দিয়েছিল শ্রোতাদের মনে।
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় মানে উত্তমকুমারও। পঞ্চাশ থেকে সত্তরের দশকের বেশির ভাগ গানে তখন উত্তম-হেমন্তের যুগলবন্দি। শুধু গায়ক নন, সুরকার হেমন্তই বা কম কিসে? বাংলা এবং হিন্দি ছবির গানে তাঁর সুরেই জন্ম নিয়েছে একের পর এক জনপ্রিয় গান। হেমন্তকুমার নামে বলিউড বিজয় সারা সেই যুগেই!
১৬ জুন সেই প্রতিভার জন্মদিন। বিশেষ দিনে শিল্পীকে স্মরণ করতে তাঁর গানেই তাঁকে ফিরে দেখার আয়োজন করেছে ‘আন্তরিক ও সিকম...’। অনুষ্ঠানের নাম ‘চিরদিনের গান’। ১৭ জুন শিশির মঞ্চে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিশিষ্ট শিল্পীবৃন্দ। হেমন্ত-স্মরণের মধ্যে দিয়েই আবার ফিরবে ‘চিরদিনের গান’। প্রয়াত দীপনাথ চট্টোপাধ্যায় ও বন্দনা সিংহের প্রযোজনায় আধুনিক গানের যে অনুষ্ঠান এক দিন সাড়া জাগিয়েছিল সর্বত্র।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।