Celebrity Interview

তিন দশক পরেও আমার সাহস আর ধৈর্য একই রকম আছে, বলছেন বাবুল সুপ্রিয়

পুজোর আগে মুক্তি পেল বাবুল সুপ্রিয়র নতুন আধুনিক বাংলা গান। সঙ্গীত থেকে রাজনীতি— আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্নের উত্তর দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী।

Advertisement
অভিনন্দন দত্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৫
A Candid chat with singer Babul Supriyo before the release of his new song

বাবুল সুপ্রিয়। ছবি: সংগৃহীত।

সোমবারই প্রকাশ্যে এসেছে তাঁর নতুন গান। ব্যস্ততার মধ্যে সময় বার করতে পারেননি। তবে বলেছিলেন মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠে ফোন করবেন। সময়মতো মেসেজ করলেন, ‘‘এ বার সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আপনি ফোন করতে পারেন।’’ সেই মতোই ফোনে পাওয়া গেল তাঁকে। সঙ্গীত থেকে রাজনীতি, বাংলা গানের পরিস্থিতি এবং তাঁর ভবিষ্যৎ কাজকর্ম নিয়ে কথা বললেন সঙ্গীতশিল্পী তথা বালিগঞ্জের বিধায়ক এবং রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তবে ইনি যেন বাবুল সুপ্রিয়-২।

Advertisement

প্রশ্ন: প্রায় ছ’বছর পর পুজোর আগে আধুনিক গান রেকর্ড করলেন।

বাবুল: পুজোর গান তো করেছি। সারা বছরে হয়তো টুকটাক গেয়েছি। সেই গান মুক্তি পেয়েছে পুজোর আগে, এমনও হয়েছে। তবে ছোট থেকে পুজোর আগে যে আধুনিক গান শুনে বড় হয়েছি, সেই রকম গান ছ’বছর পর গাইলাম।

প্রশ্ন: এতটা সময় লাগল কেন?

বাবুল: পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি অনেকাংশে দায়ী। সিডি, ক্যাসেট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বহু কোম্পানি আর আলাদা করে নতুন গান রেকর্ড করে না। কারণ, তাদের সাপোর্ট করার মতো প্ল্যাটফর্মগুলোও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন সবই ছবি-গান, এমন একটা জায়গা তৈরি হয়েছে! সেখানে দাঁড়িয়ে এই চ্যালেঞ্জটা নিতে পেরে ভাল লাগছে।

প্রশ্ন: ‘না না ভুলিনি’ গানটার ভাবনা কী ভাবে তৈরি হল?

বাবুল: অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় আর উপলরা এক বার কলকাতায় ‘রাতজাগা তারা’ নামে একটা সুন্দর অনুষ্ঠান করেছিল। সারা রাত জেগে আমরা গান গেয়েছিলাম। সেখানে গ্রিন রুমে ‘জ্যামিং সেশন’ করছিলাম। আমি ‘চায়ের দোকানে আড্ডা সকাল সন্ধে’ গানটা গাই। ভোরে বাড়ি ফেরার সময় গানটার সিক্যুয়েলের কথা মাথায় আসে। তার পর সৃজিত (মুখোপাধ্যায়) আমাকে ফোন করে সানাইয়ের (সপ্তক সানাই দাস) কথা বলে। একদিন ওকে বাড়িতে ডেকে এই গানটার সুর করলাম।

‘না না ভুলিনি’ গানটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাবুল সুপ্রিয়।

‘না না ভুলিনি’ গানটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাবুল সুপ্রিয়। ছবি: সংগৃহীত।

প্রশ্ন: এই গানটাও তো আপনার লেখা?

বাবুল: হ্যাঁ। আসলে গান লিখব বলে কখনও টেবিলে বসি না। যত ক্ষণ না পর্যন্ত মনের ভিতর থেকে গান বেরোচ্ছে, তত ক্ষণ আমি লিখি না। সানাইয়ের করা সুরটা পছন্দ হয়েছিল। তা ছাড়া আমি একটু পুরনোপন্থী। ওই মোবাইলে ট্র্যাক পাঠানো হল, কেউ কারও সঙ্গে দেখা করল না, কিন্তু গান তৈরি হল— এগুলো আমার পছন্দ হয় না। আর আপনি দুঃখের কথা বললেন একটু আগে। আমার সব প্রেমগুলোই পুরনো প্রেম হিসেবে দেখাতে হচ্ছে। এখন প্রেম করতে পারছি না (হাসি)। কয়েক দিন আগে মুম্বইয়ে একটা গানের ভিডিয়ো দু’রাত ধরে শুট করলাম। সেখানেও আমার পুরনো প্রেম দেখানো হয়েছে (হাসি)।

প্রশ্ন: একটা সময়ে ‘পুজোর গান’ নিয়ে বাঙালি শ্রোতাদের আলাদা আগ্রহ ছিল। আপনি নিজেও সেই সময়টা দেখেছেন। এখন সে সব দিনের কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে?

বাবুল: দেখুন, আমার ব্লাড গ্রুপটাই ‘বি পজ়িটিভ’। সময় বদলাবে, তার সঙ্গে সঙ্গে বদলাবে চাহিদা। একটা পণ্য কী ভাবে মানুষের কাছে পৌঁছবে, সেই প্রক্রিয়া বদলাবে। সকালে যখন বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিলাম, তখন দেখলাম আমার স্ত্রী ডাল আর নুন অনলাইনে অর্ডার করলেন। আমরা কোনও দিন ভাবতেই পারিনি। ওই জিনিসগুলো আনার জন্য আমার বাবাকে চার তলা থেকে নেমে দোকানে গিয়ে কিনে আনতে হত।

প্রশ্ন: কিন্তু এই বদল তো একটা বড় চ্যালেঞ্জ?

বাবুল: এখন একটা ছবির গানের ভিডিয়ো পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটি টাকায় তৈরি হচ্ছে। আজ আমার ছোট মেয়ে ইউটিউবে হয়তো একটা আঞ্চলিক ভাষার গান দেখছে। আবার পরমুহূর্তেই টেলর সুইফ্‌টের একটা গান দেখছে। তার পর হয়তো ‘জওয়ান’-এর গান দেখছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি হয়েছে সেগুলো। মানুষ তো এখন গান শোনার পাশাপাশি গান দেখেনও। তাই শ্রোতাকে গানের সঙ্গে ধরে রাখতে হবে। সেটা না করতে পারলে তো আমার মেয়েকেই আমার গানের ভিডিয়োর সামনে আটকে রাখতে পারব না! তাই আধুনিকতাকে মাথায় রেখেই আমার এই গানের ভিডিয়োটা তৈরি করেছি।

প্রশ্ন: এখন নাকি স্বাধীন গানের অবস্থা শোচনীয়? চারদিকে তো তেমনই আলোচনা।

বাবুল: রেডিয়ো বলছে টিভি বা সমাজমাধ্যমে গান জনপ্রিয় হলে তারা বাজাবে। চ্যানেলগুলো বলছে রেডিয়োতে জনপ্রিয় হলে তারা দেখাবে। সঙ্গীতের চ্যানেলগুলোই তো কোণঠাসা! একটা গান সেখানে ১৫-২০ বার করে দেখানো হত। তবুও কলকাতার রেডিয়ো স্টেশনগুলোর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা আছে। এখনও তারা কিন্তু শ্রোতাদের বাংলা গান শোনায়।

প্রশ্ন: সময়ের সঙ্গে আপনার কাজের ব্যস্ততাও বেড়েছে। বাড়িতে রেওয়াজ করার সময় পান?

বাবুল: রাত ১১টা নাগাদ আমার মোবাইলে একটা অ্যালার্ম বাজে। আমি জানি তখন বাড়িতে থাকব। সেই সময়টায় আমি রেওয়াজ করি। তা ছাড়া যাঁরা আমার গাড়ির চালক, তাঁদের আমার প্রেমে পড়ে যাওয়া উচিত। কারণ, আমি বেশির ভাগ সময়েই গাড়িতে গান গাইতে গাইতে সফর করি।

প্রশ্ন: রাত ১১টা থেকে রেওয়াজ! কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে নিশ্চয়ই?

বাবুল: কত ক্ষণ করছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল কথা হল কী করছি। আর আমি সেটা ভালই জানি। ওই ‘আনন্দ’ ছবির সংলাপটার মতো— জীবনে আনন্দ পেতে হলে ‘জ়িন্দেগি লম্বি নহি, বড়ি হোনি চাহিয়ে’। তাই রেওয়াজ নয়, জোর দিই সঠিক রেওয়াজের উপরে।

প্রশ্ন: কিন্তু গত কয়েক বছরে প্লেব্যাকের সংখ্যাও তো কমিয়েছেন।

বাবুল: আমার এখন খুব ভাল লাগে যে শান, রাজেশ রোশন, তালাত আজিজের মতো সতীর্থরা এখন আমার গান শুনে বলছেন, এটা নাকি নতুন বাবুল সুপ্রিয়। বাবুল সুপ্রিয়-২।

প্রশ্ন: আপনি প্রত্যাবর্তনে বিশ্বাস করেন?

বাবুল: অবশ্যই! জীবনে প্রথম ইনিংসের থেকে দ্বিতীয় ইনিংস আরও ভাল হতে পারে। এই স্বপ্ন দেখার মধ্যে তো কোনও ক্ষতি নেই। আর স্বপ্ন দেখতে হলে বড় স্বপ্ন দেখা উচিত। আমি নিয়মিত রেওয়াজ করি। এখনও চর্চা করি। সঙ্গীত আমার ‘বেটার হাফ’। মোবাইলে চার্জ না দিলে মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। বাবুল সুপ্রিয় যদি গানের মাধ্যমে নিজেকে চার্জড না রাখে, তা হলে আগামী দিনে আমারও গ্রাফ নামতে থাকবে।

প্রশ্ন: পাশাপাশি রাজনীতির ব্যস্ততাও তো রয়েছে।

বাবুল: সব কিছু নিয়েই ব্যস্ততা রয়েছে। দায়িত্ব নিতে পছন্দ করি। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে অনেক বার ইউএস ওপেন দেখেছি। সেন্টার কোর্টের পাশে একটা বোর্ডে লেখা থাকে ‘প্রেশার ইজ় আ প্রিভিলেজ’ (চাপ এমন একটা জিনিস, যা থেকে কাজের বিশেষ সুবিধা হয়)। কথাটা বলেছিলেন টেনিস তারকা বিলি জিন কিং। আমার কাছেও ব্যাপরটা তাই। সকলের উপর গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয় না। রাজনীতিতে আমি খুব মসৃণ ভাবে এগিয়েছি। আর সঙ্গীত এবং রাজনীতিকে আমি মিশিয়ে ফেলি না। কারণ দুটোই প্রিপেইড। আমার শো দেখতে দর্শক আগে টাকা দিয়ে টিকিট কাটেন। শোয়ে গানের অনুরোধ আসে। কিছু গাইতে পারি, কিছু পারি না। রাজনীতিতে আগে ভোট দিয়ে মানুষ আমাকে জেতান। তার পর তাঁরা আশা করেন, আগামী পাঁচ বছর আমি ভাল কাজ করব। রাজনীতিতে অনুরোধের ধরনটা বদলে যায়। কোথাও স্বাস্থ্য, কোথাও রাস্তা সংক্রান্ত। উভয় ক্ষেত্রেই আমাকে সমান দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিদেশে শো করতে গেলে যেমন আমাকে প্রথম শো থেকে খেয়াল রাখতে হয়, যাতে আয়োজকরা খুশি হন বা যাতে টিকিট বিক্রি হয়। একই ভাবে আসানসোলে ৭০ হাজার ভোটে জিতে দ্বিতীয় বার ২ লক্ষ ভোটে জিতি। সেটা তো আমার কাজের জন্যই হয়েছে।

প্রশ্ন: যাঁরা বলেন বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতির ময়দানে নেমে সঙ্গীতের কেরিয়ার শেষ করে দিলেন, তাঁদের কী বলবেন?

বাবুল: ভুল বলেন! রাজনীতিতে এসে কিন্তু আমার অনেক বিকাশ হয়েছে। একাধিক বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছি। ‘গুমনামী’ ছবিতে গান গেয়েছি। নতুন নতুন জিনিস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।

প্রশ্ন: আপনি তো অনেকটা ওজনও কমিয়ে ফেলেছেন।

বাবুল: অনেকেই সেটা আমায় বলছেন। আসলে আমি শুধু সেটাই করি যেটা ভালবাসি। পরিবার, রান্না করা, বাগান করা, পোষ্যদের খেয়াল রাখা। এখনও নিয়মিত সপ্তাহে তিন দিন অল্পবয়সিদের সঙ্গে রাতে ফুটবল খেলি।

প্রশ্ন: আগামী দিনে কী আপনাকে আবার অভিনয়ে পাওয়া যাবে?

বাবুল: অবশ্যই। সৃজিতের এতগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ছবিতে অভিনয় করেছি। বেশ কিছু প্রস্তাব পেয়েছি। আসলে অভিনয়ে তো অভিনেতার লুকটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।

প্রশ্ন: ‘কহো না প্যার হ্যায়’ ছবিতে গান গাওয়ার পর আপনাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। অন্নু মালিক, রাজেশ রোশন, ইসমাইল দরবার— একের পর এক বলিউডের প্রথম সারির সঙ্গীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ। ওঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন?

বাবুল: যোগাযোগ আছে। কিন্তু যাঁদের নাম করলেন, তাঁরা তো এখন আর সঙ্গীত পরিচালনা করছেন না। সঞ্জয় লীলা ভন্সালী নিজেই এখন সঙ্গীত পরিচালনা করেন। সেগুলো তো শ্রোতারা পছন্দও করছেন। ক্ষতি কী? সত্যজিৎ রায়ও তো পরবর্তী সময়ে নিজেই সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন। কিছু জিনিস নিয়ে অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু সব মিলিয়ে যা পেয়েছি তা নিয়ে আমি খুশি। পরিশ্রম করে আরও কী কী পাওয়া যেতে পারে, সে দিকেই আমি বেশি মনোযোগ দিতে চাই।

প্রশ্ন: সেই জন্যই কি বলিউডে কম গাইছেন?

বাবুল: অরিজিৎ সিংহ আসার পর এখন বলিউডে আমাদের মতো একাধিক শিল্পীরই তো গানের সংখ্যা কমেছে। এখন আমি সঙ্গীত পরিচালক হলে পাঁচটা গান তৈরি করলে হয়তো তিনটে গানই অরিজিৎকে দিয়ে গাওয়াব। তার মানে কিন্তু এটা নয় যে, অরিজিৎ দারুণ গাইছে আর আমরা সবাই খারাপ গায়ক! আসলে বলতে চাইছি, গান গাওয়া ছাড়লে চলবে না। আমি বিশ্বাস করি, ‘গানে গানে পে লিখা রহ্‌তা হ্যায় গানেওয়ালে কা নাম’। তাই অভিযোগ করে লাভ নেই। একটা বড় সংখ্যক মানুষ সমালোচনা করছেন মানে বুঝতে হবে, আমি নিশ্চয়ই কিছু ঠিক কাজ করছি। আমাকে কেউ ভুল না বুঝলে নিশ্চয়ই আমি আলাদা কিছু ভাবছি না। যাঁরা আমাকে নিয়ে রাজনৈতিক মন্তব্য করেন, তাঁদের প্রতিও আমার একটা বার্তা আছে।

প্রশ্ন: সেটা কী?

বাবুল: আমি বলি, এক দিন তাঁরা নিশ্চয়ই আমাকে ধন্যবাদ জানাবেন। কারণ, ১০ বছর ধরে সংসদে কোনও বাঙালিকে স্থান না দিয়ে বাংলার প্রতি বঞ্চনা করা হয়েছিল। আমার এত ভাল কাজ সত্ত্বেও আমাকে (কেন্দ্রীয়) মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আমি যে প্রতিবাদ করতে পেরেছিলাম, সাহস দেখাতে পেরেছিলাম, সেটা মানুষ একদিন বুঝতে পারবেন। এখন তো আমাকে গালাগাল দেওয়ার জন্যও আলাদা লোক নিয়োগ করা হয়েছে! কিন্তু আমি সে সবে পাত্তা দিই না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে যে কাজ দিয়েছেন সেগুলোই আমি দায়িত্ব নিয়ে করার চেষ্টা করছি। এর বেশি কিছু নয়।

প্রশ্ন: নব্বইয়ের দশকে উত্তরপাড়ার একটি ছেলে মুম্বই পাড়ি দিয়ে প্লেব্যাকে সুযোগ পেল। তিন দশকের এই সফর ফিরে দেখলে কী মনে হয়?

বাবুল: সাহস এবং ধৈর্য। ৩০ বছর পরেও আজও আমার মধ্যে এই দুটো জিনিস অপরিবর্তিত। তখনও যে সাহস নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঝাঁপিয়েছিলাম, ধৈর্য যতটা ছিল, এখনও ঠিক ততটাই রয়েছে। আমি বদলাইনি। শুধু বাবুল সুপ্রিয়র আরও একটা উন্নত সংস্করণে পরিবর্তিত হয়েছি— বাবুল সুপ্রিয়-২।

প্রশ্ন: আপনার ছোট মেয়ের সঙ্গীতের প্রতি আগ্রহ কতটা?

বাবুল: প্রচণ্ড! সারা ক্ষণ গান গাইছে। স্কুলে ভর্তির সময় শিক্ষিকা ওকে প্রশ্ন করেছিলেন বড় হয়ে কী হতে চায়। ও বলেছিল ‘রকস্টার’। জানেন তো, ‘রকি অউর রানি কি প্রেমকহানি’তে আলিয়া ভট্ট পর্দায় এলেই নেপথ্যে যে গানটা বাজে, সেটা কিন্তু আমার বড় মেয়ে ব্রিয়ানার গাওয়া!

আরও পড়ুন
Advertisement