Mamata Banerjee

Bengal Polls: নন্দীগ্রাম যখন ভোট দেবে পাশের ২ জেলায় মোদী, পরের দফাতেও বাংলার মাটিতে প্রধানমন্ত্রী

এখনও পর্যন্ত মোদীর যে প্রচারসূচি জানা গিয়েছে তাতে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় সভা তাঁর।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২১ ১৩:৫৮

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

নীলবাড়ির লড়াইয়েও তিনিই মুখ। আর সেই ‘মুখ’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার নির্বাচন থেকে দূরে থাকছেন না। দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনে রাজ্যেই প্রচার সারবেন তিনি। একই দিনে দু’টি সমাবেশ করবেন। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এটাই বাংলায় প্রথমবার জোড়া সভা তাঁর। একই ভাবে তৃতীয় দফাতেও বাংলাতেই থাকবেন তিনি। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, ৬ এপ্রিল তৃতীয় দফার ভোটের দিনে হাওড়ার ডুমুরজলায় সভা করবেন মোদী। তার আগে ৩ এপ্রিল, শনিবারও রয়েছে তাঁর জোড়া সভা।

এখনও পর্যন্ত মোদীর যে প্রচারসূচি জানা গিয়েছে তাতে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর এবং হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় সভা তাঁর। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফায় দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও ভোট রয়েছে। তবে এই পর্বে সবচেয়ে নজরে থাকবে নন্দীগ্রাম। পূর্ব মেদিনীপুরে ওই আসন থেকে লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে বিজেপি প্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি-তে ‘নবাগত’ হলেও ইতিমধ্যেই শুভেন্দু গেরুয়াশিবিরের বড় মুখ। বৃহস্পতিবার ‘হট সিট’ নন্দীগ্রাম থেকে খুব দূরে থাকবেন না মোদী।

Advertisement

এর পরে শনিবার ফের রাজ্যে আসবেন মোদী। সভা হওয়ার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর এবং হুগলির তারকেশ্বরে। এই দুই কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ রয়েছে তৃতীয় দফায় ৬ এপ্রিল। আর সেই দিনে ফের আসবেন মোদী।

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

বাংলায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন অবশ্য রাজ্যে ছিলেন না মোদী। গিয়েছিলেন পড়শি বাংলাদেশে। যদিও সেখানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা দিবস ও বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২৬-২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরে ছিলেন মোদী। দ্বিতীয় দিন ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের তীর্থস্থানে যান মোদী। সঙ্গে ছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা ঠাকুরবাড়ির প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুর। মোদীর ওই সফর বাংলার নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছে বলে নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি দিয়েছে তৃণমূল। তাতে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর মতুয়াদের তীর্থস্থান দর্শনের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল, পশ্চিমবঙ্গের ভোট এবং এক বিশেষ সম্প্রদায়ের ভোটারদের উপর প্রভাব বিস্তার করা’। তৃণমূলের বক্তব্য, একটি রাষ্ট্রের প্রধান হিসাবে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা মোদী পেয়ে থাকেন, তার অপব্যবহার করে বিদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভোট প্রক্রিয়া ও ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন তিনি। সেখান থেকেই পরোক্ষে দলের প্রচারও করেছেন। যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গেরই সামিল।

আরও পড়ুন
Advertisement