বাদ পড়া পাঁচ মন্ত্রী : অমিত মিত্র, পূর্ণেন্দু বসু, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, বাচ্চু হাঁসদা, রত্না ঘোষ কর।
বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থিতালিকায় এক ঝাঁক নতুন মুখের অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি বাদ পড়েছেন বেশ কয়েকজন বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন মন্ত্রীও রয়েছেন। বাদ পড়া মন্ত্রীদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। খড়দহ কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ককে এ বার বয়সজনিত কারণেই বাদ দেওয়া হয়েছে দলের অন্দরের খবর। অমিতের কেন্দ্র খড়দহে এ বার স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যান কাজল সিংহকে প্রার্থী করা হয়েছে।
বাদ পড়েছেন কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুও। পূর্ণেন্দুর কেন্দ্র রাজারহাট-গোপালপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ২৪ ঘণ্টা আগে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সি। যিনি স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তীর স্ত্রী-ও বটে।
খাদ্যপ্রক্রিয়া করণ এবংউদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লাকেও এ বার ভাঙড়ে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। একদা বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য রেজ্জাককেও বয়সের কারণেই ‘অব্যাহতি’ দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটের আরেক দাবিদার, প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকেও হতাশ হতে হয়েছে। ভাঙড়ে এ বার তৃণমূল প্রার্থী করেছে আরেক প্রাক্তন সিপিএম নেতা, পেশায় চিকিৎসক মহম্মদ রেজাউল করিমকে।
বাদ পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন (তফসিলি) কেন্দ্রের বিদায়ী বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদা। সেখানে টিকিট পেয়েছেন কল্পনা কিস্কু। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী রত্না ঘোষ করও তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা থেকে ছাঁটাই হয়েছেন। তিনি ছিলেন নদিয়ার চাকদহের বিধায়ক। সেখানে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক শঙ্কর সিংহের ছেলে শুভঙ্করকে টিকিট দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, স্থানীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরোধিতার কারণেরই রত্নাকে ভোটে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।