চলছে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ। নিজস্ব চিত্র।
রোড শো-এর পর রেয়াপাড়ার সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বললেন, ‘‘নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাড়া নেওয়া বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মাঝে মধ্যেই নারী সুরক্ষা নিয়ে নানা কথা বলেন, কিন্তু আজ আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে চাইব, আপনার উপস্থিতিতেই নন্দীগ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণ করা হল। তাহলেই বুঝুন, পশ্চিমবঙ্গে নারী সুরক্ষা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে।’’ নন্দীগ্রামের জনসভা থেকে পাল্টা মন্তব্য করেন মমতাও। বলেন, ‘‘একটা পরিকল্পনা আছে ওদের। নিজের দলের কোনও একটি মেয়েকে ওরা মারবে। বিহার, উত্তরপ্রদেশের গুন্ডাদের দিয়ে অত্যাচার করাবে। তারপর মারবে। মেরে বাংলার নামে দোষ দিয়ে হিন্দু-মুসলমান করবে। এটা ওদের পরিকল্পনা।’’
মঙ্গলবারই নন্দীগ্রামে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। আক্রান্ত মহিলার স্বামী নিজেকে বিজেপি সমর্থক বলে দাবি করেছেন। তাঁর অভিযোগ, সোমবার বিজেপি-র মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কর্মসূচির মধ্যে সামান্য অবসরে স্ত্রীকে বেশ কয়েকবার ফোন করেন। কিন্তু ফোনে পাননি। কিছু অঘটনের আশঙ্কায় তিনি দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন। অভিযোগ, তিনি ফিরে দেখেন, বাড়ির দরজা হাট করে খোলা। তারপর চারপাশে খোঁজ করতে গিয়ে দেখেন, বাড়ির পিছনের খালে উপুর হয়ে ভাসছেন স্ত্রী। চেঁচামেচিতে স্থানীয় লোকের জড়ো হয়ে যান। দ্রুত স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্থানীয় নন্দীগ্রাম বেরুলিয়া হাসপাতালে প্রাথমিক পরীক্ষা করে বলা হয়, ধর্ষণ করে ফেলে রেখে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।
ঘটনার পরেই লিখিত অভিযোগ জানান নির্যাতিতা মহিলার স্বামী। তিনি লিখিত ভাবে পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন রাত ১১.৪৫ মিনিট নাগাদ স্ত্রীয়ের জ্ঞান ফিরলে তিনি জানান, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে ধর্ষণ করেছে। ৫ ধর্ষকের নামও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে। নির্যাতিতার স্বামীর বক্তব্য, তিনি বিজেপি-র সমর্থক বলেই তাঁর স্ত্রীকে এই অবস্থার মুখে পড়তে হয়েছে।
মঙ্গলবার এই ঘটনার কথাই সাংবাদিক বৈঠক থেকে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। নিমতায় বৃদ্ধার মৃত্যুর প্রসঙ্গও ফের টেনে আনেন তিনি। প্রশ্ন তোলেন নারী সুরক্ষা নিয়ে। নন্দীগ্রামের সভা থেকে তারই পাল্টা মন্তব্য করেন মমতা।