অমিত শাহ। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগেই দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর হবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটের আগেই সিএএ কার্যকরের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।’’
২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে সিএএ পাশ করিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই আইনানুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। সংসদের দু’কক্ষে পাশের পরে রাষ্ট্রপতিও অনুমোদন দিয়েছিলেন সিএএ বিলে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এ সংক্রান্ত আইনের ধারা তৈরি হয়নি।
জানুয়ারি মাসে ওই আইনের ধারা তৈরির জন্য সপ্তম বার সময়বৃদ্ধিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল সংসদীয় সচিবালয়। সরকারি সূত্রের খবর, সেই কাজ শেষ হতে চলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে সাড়ে চার বছর ধরে বিষয়টি ঝুলে থাকায় ক্ষোভ তৈরি হয়েছে হিন্দু উদ্বাস্তু সমাজের একাংশের মধ্যে। লোকসভা ভোটের আগে তা প্রশমনের উদ্দেশ্যে সিএএ কার্যকরে সক্রিয় হতে পারে মোদী সরকার। বস্তুত, শনিবার দিল্লিতে একটি আলোচনা সভায় শাহই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সিএএ দেশের একটি আইন। তা অবশ্যই কার্যকর করা হবে। এ বিষয়ে কোনও সংশয় থাকাই উচিত নয়।’’
পশ্চিমবঙ্গের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে সিএএ কার্যকরের বিরোধী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই গোটা প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা ন্যূনতম করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। ভাবা হয়েছে, নাগরিকত্ব পাওয়ার সামগ্রিক পরিকল্পনা অনলাইনের মাধ্যমে রূপায়ণের কথা। ওই সূত্রের মতে, একটি অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ইচ্ছুকেরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী কোন সালে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন, সেই তথ্য পোর্টালে দিতে হবে। ওই আবেদন খতিয়ে দেখে নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।