আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। —নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেননি তৃণমূল কর্মী। এই সন্দেহের বশে ভরা বাজারে তাঁকে মারধরের অভিযোগ উঠল দলের অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা জলঙ্গির হরিভক্তপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আক্রান্তের নাম আন্তাজুল শেখ। তিনি জলঙ্গির হরিভক্তপুর এলাকার তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে পরিচিত। আন্তাজুলের অভিযোগ, শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ বাজার করতে বেরিয়েছিলেন। হাসপাতাল মোড়ের কাছে তাঁকে টোটো থেকে নামিয়ে আচমকাই মারধর শুরু করেন তৃণমূলের কয়েক জন। বাঁশ এবং লাঠি দিয়ে পেটানো হয় তাঁকে। মারের চোটে মাথা ফাটে তাঁর। আক্রান্তের আরও অভিযোগ, সিপিআইএম ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া কয়েক জন তাঁর উপর হামলা করেছেন। তিনি তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন কি না, ওই সন্দেহে আক্রমণ করা হয়েছে।
আন্তাজুলকে মারধরের সময় লোকজন জড়ো হতেই অভিযুক্তেরা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ। আহত ওই তৃণমূল কর্মীর চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের বুথ স্তরের নেতা বলে দাবি করেছেন আক্রান্ত ব্যক্তি। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর মেলেনি। অন্য দিকে, এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
জলঙ্গি বিধানসভা এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে বিধায়ক গোষ্ঠী বনাম ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী করা নিয়ে ওই দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছয়। দুই গোষ্ঠীর এলাকা দখলের লড়াইয়ে বার বার গন্ডগোলের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়েরা। লোকসভা নির্বাচনের মুখে ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে বেশ কয়েক জন বামকর্মী তৃণমূলে যোগ দেন। আন্তাজুলের দাবি, তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন মারধর করা হয়েছে তাঁকে। অন্য দিকে, বিরোধীদের কটাক্ষ, নব্য এবং আদি তৃণমূল দ্বন্দ্বেই এই মারধর এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।