(বাঁ দিকে) প্রচার গাড়িতে কল্যাণ ও কাঞ্চন। নেমে যাচ্ছেন কাঞ্চন, গাড়িতে কল্যাণ (ডান দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।
প্রচারে বেরিয়ে উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! মনমরা হয়ে কাঞ্চন বেরিয়ে গেলেন কল্যাণের প্রচার ছেড়ে। পরে কল্যাণের দাবি, কাঞ্চনকে দেখলেই গ্রামের মহিলারা ‘ভীষণ রিয়্যাক্ট’ করছেন। তাই তিনি কাঞ্চনকে তাঁর সঙ্গে গ্রামে প্রচারে যেতে মানা করেছেন।
তিনি দীর্ঘ দিনের সাংসদ। সেই কল্যাণ শ্রীরামপুরে আবার নেমেছেন জনপ্রিয়তা যাচাই করতে। ভোটের আগে দিনভর প্রচার করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালেও কোন্নগরের স্টেশন রোডে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে থেকে তেমনই বেরিয়েছিলেন প্রচারে। উদ্দেশ্য, কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিবিড় জনসংযোগ চালানো। হুড খোলা গাড়িতে আরও কয়েক জনের পাশাপাশি কল্যাণের সঙ্গেই ছিলেন উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন। কিন্তু প্রচার শুরুর আগেই কাটল তাল। কারণ, কল্যাণ চাননি তাঁর প্রচার গাড়িতে থাকুন কাঞ্চন। সে কথা কল্যাণ জানান কাঞ্চনকে। তার পরেই উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণের প্রচার গাড়ি ছেড়ে নেমে যান। তার পর এক দলীয় কর্মীর বাইকের পিছনে বসে তাঁকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। কাঞ্চনের অনুগামীদের সূত্রে খবর, তিনি কলকাতায় ফিরে যাচ্ছেন। এই ঘটনার জেরে শুরুতেই তাল কাটে কল্যাণের প্রচারের।
যাঁর আপত্তিতে কাঞ্চনকে নেমে যেতে হল, সেই কল্যাণ বলছেন, ‘‘উনি মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন কি হননি, আমি জানি না। আমি ওঁকে নিয়ে আগেও প্রচার করেছি। আমার সঙ্গে যখন প্রচারে বেরোচ্ছেন তখন গ্রামের মহিলারা কিন্তু ভীষণ রিয়্যাক্ট করছেন। আমি ওঁকে আগেই বলে দিয়েছিলাম, ‘গ্রামে এসো না।’ আর আমার সঙ্গে প্রচারে শুধু কেন থাকছেন? এক জন বিধায়ক, তিনি তো নিজেও প্রচার করতে পারেন, তা তো করছেন না। আমি ব্যক্তিবিশেষের জন্য নই, আমি সমষ্টিগত মানুষের জন্য। এক জনের সুখের জন্য আমি সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না।’’
কল্যাণের এই ব্যবহার নিয়ে কাঞ্চন বলেন, ‘‘আমি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়েছিলাম। উনি বলেছেন কারা নাকি রিয়্যাক্ট করেছে! আমি তো আগেও প্রচারে ছিলাম। কই, আমাকে দেখে তো কেউ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাননি। এখন ওঁকে কেউ বলেছে কি না উনি বলতে পারবেন।’’
প্রসঙ্গত, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর খুব সম্প্রতি আবার বিয়ে করেছেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন। যা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে দাবি কল্যাণের। যদিও কল্যাণ স্পষ্ট করেননি, গ্রামের মহিলারা ঠিক কোন কারণে কাঞ্চনকে নিয়ে আপত্তি করছেন?