ব্রিগেড সমাবেশে তৃণমূলের সাত বক্তা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ব্রিগেডে তৃণমূলের বক্তাদের তালিকায় ছিলেন মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা এবং ফিরহাদ হাকিম। এ ছাড়া রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর (মতুয়া), গোয়া তৃণমূলের ইন-চার্জ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ (মৈথিলি), শিখ নেতা জার্নেল সিংহ, সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বাসুনিয়া (তফসিলি জনজাতি), নাগরাকাটার তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় কুজুর (খ্রিস্টান)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে ব্রিগেডে তৃণমূলের তরফে সাত জন ভাষণ দিলেন। তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। এই পর্যায়ে তৃণমূলের বক্তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধিত্ব ছিল।
ব্রিগেডের মঞ্চে শিখ নেতা জার্নেল সিংহ।
ব্রিগেডের মঞ্চে ফিরহাদ হাকিমের বক্তৃতা শুরু হয়েছে। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আদালত অবস্থান স্পষ্ট করার পরের দিনই শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
ব্রিগেড সমাবেশে ভিড়ের ছবি।
ব্রিগেডে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
The people from all corners of Bengal are assembling in massive numbers at the Brigade Ground.
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) March 10, 2024
Let's demonstrate to the nation that when Bengal roars, its resounding strength and determination captivates the entire nation.#JonogorjonSabha pic.twitter.com/iTimEpo3cA
কীর্তি আজাদের পর ব্রিগেডের মঞ্চে ভাষণ দিতে উঠেছেন রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। ভাষণে বিজেপির নেতামন্ত্রীদের বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
মমতাবালা ঠাকুর। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র
বিরবাহার পর এ বার মঞ্চে বলছেন গোয়া তৃণমূলের ইন-চার্জ কীর্তি আজাদ। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, ‘‘যত দিন বাঁচব, দিদির সঙ্গেই থাকব।’’
কীর্তি আজাদ। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র।
ব্রিগেডে সাঁওতালি ভাষায় ভাষণ দিলেন বিরবাহা হাঁসদা।
ভাষণ দিচ্ছেন বিরবাহা হাঁসদা। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে ব্রিগেড-মঞ্চে শুরু হল বক্তৃতা। সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বাসুনিয়া, বিরবাহা হাঁসদারা একে একে ভাষণ দিচ্ছেন।
কালীঘাট থেকে বেরিয়ে ব্রিগেডের উদ্দেশে রওনা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করা হবে— এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্রিগেডের মাঠে জল্পনা শুরু হয়েছে। কোন কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে চর্চা চলছে।
ব্রিগেডের মঞ্চ। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র।
ব্রিগেডের মঞ্চে চলছে বাউল গান। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র
ব্রিগেডের অভিনব মঞ্চ। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র।
ব্রিগেডের মঞ্চে অনুষ্ঠান চলছে। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র।
ব্রিগেড সভামঞ্চে আর কিছু ক্ষণের মধ্যে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের বক্তৃতা শুরু হবে। তার আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে।
ব্রিগেডের মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবিবার। — নিজস্ব চিত্র।
ব্রিগেড থেকেই তৃণমূলের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করা হবে। তেমনটাই জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে ৪২টি আসনেরই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাওড়া স্টেশন থেকে বহু মানুষ লঞ্চে ব্রিগেড পৌঁছচ্ছেন। সকাল থেকে ফেরি পরিষেবায় চোখে পড়ার মতো ভিড়। — নিজস্ব চিত্র।
শিয়ালদহ স্টেশন থেকে রাজ্য়ের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। বাংলার মানুষ দিদির পাশেই আছেন। কেন্দ্র তো বাংলাকেই বঞ্চনা করছে। ফলে বঞ্চনার প্রতিবাদে যিনি লড়ছেন, মানুষ তাঁর পাশেই থাকবে। দিল্লিকে কাঁপিয়ে দেবে ‘জনগর্জন সভা’। তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনই সন্দেশখালিতে সভার আয়োজন করেছে বিজেপি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পার্থ সে প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘শুভেন্দুর সভায় সন্দেশখালির মানুষ কত, আর বাইরের লোক কত আছেন, আপনারা সেটা দেখান।’’
শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা ব্রিগেডে যাচ্ছেন। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে শুরু করে হাজরা কিংবা হাওড়া স্টেশন, একাধিক মিছিল এগোচ্ছে ব্রিগেডের দিকে।
রবিবার সকাল ১১টা থেকে ব্রিগেডে তৃণমূলের সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা। তার আগে ময়দান ক্রমশ ভরে উঠছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বাসে কিংবা হেঁটে মিছিল করে তৃণমূল সমর্থকেরা ময়দানের দিকে যাচ্ছেন। দলের পতাকা হাতে নিয়ে ব্রিগেড মাঠে ভিড় করেছেন বহু মানুষ।