Lok Sabha Election 2024

ভোটের হার ৮০ শতাংশ পার, জল্পনা

২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে দেখলে ভোটের হার কিছুটা কমেছে। তথ্য বলছে, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বীরভূম কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৮৫.২৮ এবং ৮৪.৩৯ শতাংশ।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২৪ ০৯:০৩

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রত্যাশা ছিল জেলার দুই কেন্দ্রে ভোটের হার ছাপিয়ে যাবে ৮০ শতাংশ। সেটাই হয়েছে। চূড়ান্ত হিসেবের পরে নির্বাচন কমিশনের তথ্য বলছে, বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৮১.৯১ শতাংশ। বোলপুর কেন্দ্রে ভোটের হার ৮২.৬৬ শতাংশ।

Advertisement

তবে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে দেখলে ভোটের হার কিছুটা কমেছে। তথ্য বলছে, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বীরভূম কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৮৫.২৮ এবং ৮৪.৩৯ শতাংশ। বোলপুর কেন্দ্রে ২০১৪ সালে ভোট পড়েছিল ৮৫.৭০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৮৬.০২ শতাংশ। সেদিক থেকে দেখলে গড়ে ৩ শতাংশ ভোট কম পড়েছে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘এ বার প্রথম তিন দফা ভোটে যে হারে ভোট পড়েছে তার নিরিখে জেলার দুই কেন্দ্রে যথেষ্ট ভাল ভোট পড়েছে।’’

প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের নিরিখে চতুর্থ দফায় এ রাজ্যে ভোটের হার সবচেয়ে ভাল। যে আটটি আসনে ভোট হয়েছে তারমধ্যে যথেষ্ট উজ্জ্বল জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্র।ভোটের হারের নিরিখে বোলপুর দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে বীরভূম। প্রথম স্থানে পূর্ব বর্ধমান। সেখানে ভোট পড়েছে ৮২.৮৫ শতাংশ।

বিরোধীদের কটাক্ষ, ‘‘ছাপ্পা ভোটদানের সুযোগ সেভাবে পায়নি শাসক দল। সামান্য কম ভোট পড়ার সেটাও কারণ হতে পারে।’’ শাসক দল তৃণমূলের পাল্টা জবাব, ‘‘কোনও ছাপ্পার গল্প থাকে না। এ বার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে মেনে নিচ্ছেন বিরোধীরা। ভোটের ফল কিন্তু আমাদের পক্ষেই যাবে।’’

তবে ৮০ শতাংশের উপর ভোট পড়তেই জেতা হারা নিয়ে চর্চা চলছে। আত্মবিশ্বাসী শাসক দল। আশাবাদী বিজেপিও। বীরভূম কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় বলছেন, ‘‘জিতব তো নিশ্চিত। ব্যবধানও বাড়বে।’’ এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টচার্য বলছেন, ‘‘হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। যিনিই জিতুন ব্যবধান ১০-২০ হাজারের মধ্যেই থাকবে।’’

বিজেপি সূত্রে দাবি, বোলপুর কেন্দ্রে নিয়ে উচ্ছ্বাস না দেখালেও বীরভূম কেন্দ্রে ভাল ফলের আশা করছে বিজেপি। তবে দলের নেতাকর্মীদের একাংশ বলছেন, কেন্দ্র জেতার জন্য যে প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল সেখানে একাধিক খামতিও ছিল। দলের নেতাকর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথমত প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা, দেরিতে প্রার্থী ঠিক করলেও নথিগত সমস্যার জন্য তাঁর নথি বাতিল হওয়া প্রভাব ফেলেছে। শেষ মুহূর্তে দেবতনু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করা হলেও প্রচারে পিছিয়ে ছিলেন তিনি।

বিজেপির এক নেতা আড়ালে বলছেন, ‘‘লোকসভা কেন্দ্রের ১৯০০-র মধ্যে মুরারই, নলহাটি, হাঁসন বিধানসভা কেন্দ্র বাদ দিলেও বাকি চারটি বিধানসভা এলাকা রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, সিউড়ি এমনকি শক্তিশালী দুবরাজপুরের বহু বুথেই এজেন্ট দেওয়া যায়নি।’’ ওই নেতার দাবি, ‘‘বিষয়টিতে দলের তরফে গুরুত্বও সেভাবে দেওয়া হয়নি।খয়রাশোল ব্লকে বেশ কিছু বুথে এজেন্ট বসতে পারেননি শুধু মাত্র সই না মেলায়।’’

Advertisement
আরও পড়ুন