মুর্শিদাবাদের প্রশাসনিক কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
নবান্ন থেকে সরকার পরিচালনা করলেও মুর্শিদাবাদের খবরও তিনি রাখেন। জেলার দলীয় নেত়ৃত্ব এবং জনপ্রতিনিধিদের সে কথাই বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত দলীয় নেতাদের একাংশের সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সোমবার লালবাগের প্রশাসনিক সভা শেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলার সাংসদ, বিধায়ক এবং প়ুর চেয়ারম্যানদের নিয়ে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৫ মিনিটের সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী দলীয় নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছেন বলে তৃণমূলের একাংশের সূত্রে খবর। আরও খবর, বাংলা আবাস যোজনায় সুবিধা প্রাপকদের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগ নিয়েও জেলা পঞ্চায়েত স্তরের একাধিক প্রতিনিধিকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্নীতি ইস্যুতে দলীয় কর্মীদের আত্মসংযমের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বলেও খবর। সেই সঙ্গে জেলায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কোনও অভিযোগ তিনি ভবিষ্যতে শুনতে চান না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতার সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের লালবাগের নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউটের মাঠে প্রশাসনিক সভা শেষ করে সভাস্থলেই অস্থায়ী ভাবে নির্মিত একটি ঘরে দলের সাংসদ, বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু করেন দলনেত্রী মমতা। বৈঠকে প্রবেশের অনুমতি ছিল না সংবাদমাধ্যমের। দলীয় নেতাদের একাংশের সূত্রে খবর, তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী থেকে নেতাদের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন মমতা। বৈঠকে থাকা কয়েক জনের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, আবাসের টাকা ঢুকতেই নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে? এত টাকার প্রয়োজন কিসে? কারা কারা টাকা নিচ্ছে, সব খবর তাঁর কাছে রয়েছে। প্রয়োজনে এফআইআর করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে দলীয় কোন্দল নিয়েও দলনেত্রী মমতা সরব হয়েছেন বলে খবর৷ দলের একটি সূত্র বলছে, দলীয় নেতা-কর্মীদের শৃঙ্খলার পাঠ দিয়েছেন নেত্রী ৷ ব্যক্তি স্বার্থকে দূরে সরিয়ে রেখে দলের স্বার্থে কাজ করার কথাও বলেছেন তিনি৷ আরও খবর, বৈঠকে একটি রিপোর্ট নিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সময় কম থাকায় সেই রিপোর্ট তিনি বৈঠকে পড়তে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, আবাস যোজনায় সাধারণ মানুষের থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ শুনেছেন তিনি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, দু’টি বিধানসভা নওদা এবং রেজিনগরের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেই মূলত তিনি অভিযোগ পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন।