বাঁ দিক থেকে, নীতীশ, চিরাগ, জিতনরাম এবং উপেন্দ্র। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটে বিহারে নীতীশ কুমারের জেডিইউ-সহ চার সহযোগী দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলল বিজেপি। সোমবার বিজেপির তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিহারে চার সহযোগীর সঙ্গে আসন রফার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
রফা সূত্র অনুযায়ী, সে রাজ্যের ৪০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৭ এবং জেডিইউ ১৬টিতে প্রার্থী দেবে। প্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (আর) লড়বে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে। একটি করে আসন পাবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঝিঁর হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (হাম) এবং নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার সদস্য উপেন্দ্র কুশওয়াহার দল রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম)।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ১৭টি আসনে লড়েছিল বিজেপি। ১৭টিতে লড়েছিল নীতীশের দল। আর বাকি ছয় আসনে প্রার্থী দিয়েছিল রামবিলাসের দল এলজেপি। বিজেপি ১৭ এবং এলজেপি ছ’টি আসনে জিতলেও কিসানগঞ্জে জেডিইউ-কে হারিয়ে জিতেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। এর পরে ২০২২-এ নীতীশ এনডিএ ছেড়ে আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের মহাগঠবন্ধনে যোগ দিলেও গত জানুয়ারিতে আবার বিজেপির সহযোগী হয়েছেন।
সম্প্রতি, চিরাগ আনুষ্ঠানিক ভাবে এনডিএ-তে ফেরেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ২০২১-এর মধ্যপর্বে এলজেপির ভাঙনের সময় বিজেপি দাঁড়িয়েছিল তাঁর কাকা পশুপতি পারসের পাশে। সে সময় পশুপতি-সহ লোকসভায় দলের পাঁচ সাংসদ এক দিকে ছিলেন। অন্য দিকে একা চিরাগ। সেই পরিস্থিতিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা পশুপতি গোষ্ঠীকেই ‘এলজেপি সংসদীয় দলের’ স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এনডিএ জোটে পশুপতি গোষ্ঠীকে স্থান দিয়েছিল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও চিরাগকে ব্রাত্য করে পশুপতিকে কেন্দ্র প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন। কিন্তু সোমবার বিজেপির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টির প্রধান পশুপতির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।