নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সব তথ্য জমা দিল এসবিআই। — ফাইল চিত্র।
নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সব তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)। সেই তথ্যের মধ্যেই রয়েছে নির্বাচনী বন্ডের ক্রমিক নম্বরও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আনতে হবে এসবিআইকে। এমনকি, সময়ও বেঁধে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে সব তথ্য জমা করতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কমিশনের কাছে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা করল এসবিআই। হলফনামা দিয়ে সেই কথা সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে তারা।
নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত মামলায় গত ১৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের তোপের মুখে পড়ে এসবিআই। আদালতের নির্দেশের পরেও কেন সব তথ্য এসবিআই প্রকাশ করল না, প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন “আমরা নির্বাচনী বন্ড নিয়ে আপনাদের (এসবিআই) কাছে থাকা সমস্ত তথ্য চাই।” রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কটির ‘দায়সারা মনোভাবের’ সমালোচনা করে প্রধান বিচারপতির সংযোজন, “স্টেট ব্যাঙ্কের ভাবভঙ্গি এমন যে, আপনারা প্রকাশ করতে বলেছেন। তাই আমরা করব। কিন্তু এটা ঠিক নয়। আমরা যখন বলেছি সব তথ্য চাই, তখন সব তথ্যই প্রকাশ করতে হবে।” পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, এসবিআই যে সব তথ্য প্রকাশ করেছে, তা জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে হলফনামা দিয়ে আদালতকে জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী বন্ড ব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘ক্ষতিকারক’ আখ্যা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ স্টেট ব্যাঙ্ককে অবিলম্বে নির্বাচনী বন্ড বিক্রি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কতগুলি নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে, কোন কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনী বন্ড থেকে টাকা পেয়েছে— সেই সংক্রান্ত সব তথ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশের পর গত ১২ মার্চ নির্বাচনী বন্ডের তথ্য কমিশনকে জমা দিয়েছিল এসবিআই। গত বৃহস্পতিবার সেই তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে কমিশন। সেই বন্ডের ক্রেতা এবং প্রাপক দলের লম্বা তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশও করে দেওয়া হলেও সেখানে ছিল না বন্ডের নম্বর। যা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছিল, অসম্পূর্ণ তথ্য জমা দিয়েছে এসবিআই। আদালত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মতোই বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই বাকি থাকা বন্ড সংক্রান্ত সব তথ্য কমিশনকে জমা দিল কমিশন।