Dilip Ghosh

‘বহিরাগতরা জামাকাপড় খুলে রেখে যেন চলে যায়’, কালীর কাছে দিলীপের সরব প্রার্থনায় আবার বিতর্ক

তৃণমূলের কীর্তি আজ়াদকে আবার আক্রমণ শানালেন দিলীপ ঘোষ। এ বার মন্দিরে প্রার্থনার সময় দিলীপের মন্তব্য ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে। এ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। পাল্টা কটাক্ষ করেছেন কীর্তি আজ়াদ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪ ১৪:৪২
Dilip Ghosh

দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।

দিলীপ ঘোষ আছেন দিলীপ ঘোষেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ‘কুমন্তব্য’ করার অভিযোগে বিজেপি প্রার্থীকে শো-কজ় করেছে নির্বাচন কমিশন এবং তাঁর দল। মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চান দিলীপ। কিন্তু শনিবার ভোটপ্রচারের গিয়ে আবার বেলাগাম দিলীপ। এ বার পুজো দিতে গিয়ে পুরোহিতকে দিলীপ বললেন, ‘‘মাকে বলুন যাতে বর্ধমান দুর্গাপুরের সম্মান রাখতে পারি। বহিরাগতরা যেন জামাকাপড় খুলে রেখে চলে যায়।’’ প্রসঙ্গত, ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজ়াদকে আগে থেকেই ‘বহিরাগত’ বলে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ। তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির।

Advertisement

শনিবার পূর্ব বর্ধমানের কামনাড়ার গৌর কালীবাড়ি মন্দিরে পুজো দেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ। পুজো দিয়ে তিনি পুরোহিতের কাছে আশীর্বাদ চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নিয়ে ওই মন্তব্য করেন। অন্য দিকে, দিলীপের কথায় মন্দিরের পূজারী বলেন, ‘‘মাকে (কালী) বলুন, মাকে বলুন।’’

এর আগে দুর্গাপুরে প্রচারে গিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে ‘অসংসদীয়’ মন্তব্য করেন দিলীপ। তার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বিজেপিও তাঁকে শো-কজ় করেছে। শুক্রবারই দিলীপ কমিশনের কাছে তাঁর শো-কজ়ের জবাব দেন। কিন্তু শনিবার বিরোধীদের উদ্দেশে দিলীপের মন্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তিকে। সিপিএম টিকিট দিয়েছে সুকৃতি ঘোষালকে। প্রচারের প্রথম দিন থেকেই বিজেপির দিলীপ বনাম তৃণমূলের কীর্তি মন্তব্য এবং পাল্টা মন্তব্যের লড়াই শুরু হয়েছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। শনিবার কীর্তিকে ‘মানসিক রোগী’ বলেও কটাক্ষ করেন দিলীপ।

দিলীপের এই মন্তব্যের পর রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘উনি খারাপ কথা বলে বাংলার মানুষকে অসম্মান করছেন।’’ অন্য দিকে, বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্রের ব্যাখ্যা, ‘‘তৃণমূল নেতারা বাংলার মানুষকে অসম্মান করেছেন। বাংলার নারীদের অসম্মান করেছেন। সন্দেশখালি তার জ্বলন্ত উদাহরণ।’’

আরও পড়ুন
Advertisement