Tejaswi Yadav

হয় ‘ইন্ডিয়া’, নয় এনডিএ! কিন্তু কখনওই ভোট নয় পাপ্পুকে, তেজস্বীর মন্তব্যে বিতর্ক ভোটের বিহারে

কংগ্রেসের তরফে দাবি জানানো হলেও, পূর্ণিয়া আসনটি ‘বাহুবলী’ প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পুকে ছাড়েনি আরজেডি। এই পরিস্থিতিতে পাপ্পু ‘নির্দল’ হিসাবে লড়ছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ২০:১৪
(বাঁ দিকে) পাপ্পু যাদব। তেজস্বী যাদব (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) পাপ্পু যাদব। তেজস্বী যাদব (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-কে ভোট না-দিলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে সমর্থনের জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন জানানোর অভিযোগ উঠল আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে। লালুপ্রসাদের পুত্র তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী পূর্ণিয়ায় একটি জনসভায় ওই মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

তেজস্বীর সেই বক্তৃতার একটি ভিডিয়ো ফুটেজও সামাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (আনন্দবাজার অনলাইন ওই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি)। লোকসভা ভোটে বিহারে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’ প্রার্থী করেনি কংগ্রেস নেতা তথা ‘বাহুবলী’ প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পু যাদবকে। কংগ্রেসের তরফে বার বার দাবি জানানো হলেও আসনটি ছাড়েনি লালু-তেজস্বীর দল। এই পরিস্থিতিতে পূর্ণিয়া কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়তে নেমেছেন তিনি।

সোমবার ওই কেন্দ্রে বিরোধী জোটের আরজেডি প্রার্থী বিমা ভারতীর সমর্থনে সভা করতে গিয়ে পাপ্পু সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তেজস্বী। অভিযোগ তার পরেই গেরাবাড়ি এলাকায় আরজেডির একটি জনসভায় ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা আমাদের জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিমা ভারতীকে ভোট দিন। আর তা যদি না-দেন তা হলে এনডিএ-কে দিন।’’

গত ২৪ মার্চ পটনার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে এআইসিসির পর্যবেক্ষক পবন খেড়ার উপস্থিতিতে তাঁর দল জন অধিকার পার্টিকে কংগ্রেসে মিশিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন পাপ্পু। তার আগে লালুর সঙ্গেও দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কোশী-সীমাঞ্চল এলাকার নেতা পাপ্পুর প্রভাব পূর্ণিয়ার পাশাপাশি সুপৌল আসনেও রয়েছে। তাঁর স্ত্রী রঞ্জিতা রঞ্জন ২০১৪-১৯ এই কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ ছিলেন। কিন্তু এ বার ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে পূর্ণিয়ার পাশাপাশি সুপৌলেও নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে লালু-তেজস্বীর দল।

পাপ্পুর স্ত্রী রঞ্জিতা গত এক দশক ধরেই কংগ্রেসে রয়েছেন। বর্তমানে তিনি ছত্তীসগঢ় থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভা সাংসদ। পাপ্পু শিবিরের অভিযোগ, বিহারে অন্য কোনও যাদব নেতার উত্থান কোনও ভাবেই বরদাস্ত করতে পারে না লালু পরিবার। অতীতে রামকৃপাল যাদব, রঞ্জন যাদবদের মতো নেতা সেই ‘প্রতিহিংসার’ শিকার হয়েছেন। এ বার হয়েছেন পাপ্পু। ২০১৪-এর লোকসভা ভোটে মধেপুরা আসনে আরজেডি প্রার্থী হিসাবে জেডি(ইউ)-এর শরদ যাদবকে হারিয়েছিলেন পাপ্পু। কিন্তু ২০১৫-য় লালুর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। বিহারের বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ মঙ্গলবার বলেন, ‘‘তেজস্বীর মন্তব্যেই প্রমাণ মিলল, ভোটের আগেই হার মেনে নিয়েছে আরজেডি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement