Lok Sabha Election 2024

হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয়ের দশা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা

দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার অভিযোগ, পাহাড়ের মানুষকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধোঁকা দিয়েছেন।

Advertisement
সৌমিত্র কুন্ডু
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫৯
দার্জিলিং হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয়।

দার্জিলিং হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

দার্জিলিং হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ পাহাড়ে। লোকসভা ভোটের মুখে, বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও সরব হয়েছে। আসন্ন ভোট প্রচারেও তারা বিষয়টিকে তুলে ধরতে চায়। কারণ, এ বছর সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন পড়ুয়া ভর্তির প্রক্রিয়া হয়নি। পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পারিশ্রমিক না মেলায় শিক্ষকেরা ‘অনলাইন’ ক্লাসও বন্ধ করে দেওয়ায় পড়াশোনা বন্ধ হয়ে পড়েছে।

Advertisement

দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তার অভিযোগ, পাহাড়ের মানুষকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধোঁকা দিয়েছেন। পরিকাঠামো তৈরি না করে ‘অনলাইন’ ক্লাস এবং দু’বছর ভর্তি করে পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছেন। পাহাড়ের কংগ্রেস নেতা বিনয় তামাং কেন্দ্র এবং রাজ্য—উভয়কেই দুষে জানান, উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আচার্যের নিয়োগ করা অস্থায়ী উপাচার্যের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার আইনি লড়াই করছে। এই দুই জাঁতাকলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে তাঁর দাবি। পাহাড়ের শাসক দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার শীর্ষ নেতা তথা ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’(জিটিএ)-এর চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপা বলেন, ‘‘হিল্‌স ইউনিভার্সিটিতে উপাচার্য নেই। টাকা কে চাইবে! উপাচার্য না থাকলে কিছুই হবে না। অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য দিলেন, অথচ হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউকে দিলেন না রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। আমরা উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’’

কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক তথা দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আধিকারিক দেবাশিস দত্ত উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যসচিব, আচার্য, জিটিএ কর্তৃপক্ষ— সকলকেই চিঠি দিয়েছেন। কিন্ত কোনও সাড়া পাননি বলে দাবি।

দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর বিষয়টি রাজ্যকেই তো দেখতে হবে। কেন না, বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে গেলে বাজেট দরকার। যা পরিস্থিতি, এই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেষ্টা করছি।’’ পাহাড় থেকে তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তা ছেত্রী গোটা বিষয়টি ভাল করে বুঝে উচ্চ শিক্ষা দফতরে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement