Lok Sabha Election 2024

ভিড় টানাই চ্যালেঞ্জ দুই মহারথীর সভায়

মমতার সভা কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে, যেখানে দিনকয়েক আগে জনসভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ভিড়কে টেক্কা দেওয়ার ‘চ্যালেঞ্জ’ নিয়েছে তৃণমূল।

Advertisement
নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:২০
(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।

একটি কোচবিহার শহরের রাসমেলার মাঠে, অন্যটি এই জেলারই দিনহাটায়। আজ, সোমবার এই দুই জনসভা ঘিরে উত্তাপের আঁচ রবিবার থেকেই। কোন সভায় কত ভিড় হবে, তা কার্যত ‘চ্যালেঞ্জ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভোটযুদ্ধের দুই মহারথী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে।

Advertisement

মমতার সভা কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে, যেখানে দিনকয়েক আগে জনসভা করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই ভিড়কে টেক্কা দেওয়ার ‘চ্যালেঞ্জ’ নিয়েছে তৃণমূল। আর দিনতিনেক আগে দিনহাটার সংহতি ময়দানে জনসভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ভিড়কে হার মানানোর ‘চ্যালেঞ্জ’ নিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, রাসমেলার মাঠে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই মতো ব্লক ধরে ধরে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। যে ব্লকে তৃণমূলের ভাল সংগঠন রয়েছে সেখানে পনেরো থেকে কুড়ি হাজার, যেখানে সংগঠন তুলনায় দুর্বল সেখানে পাঁচ থেকে দশ হাজার মানুষকে সভায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই মতো বাস, ট্রাক, অটো, টোটো ভাড়া নেওয়া হয়েছে।

তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, “চারটি জেলা মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভা হয়েছিল। অসম থেকেও লোক আনা হয়েছিল। আর আমরা শুধু কোচবিহার থেকেই এক লক্ষ মানুষের সভা করব।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকও বলেন, “ঐতিহাসিক সভা হবে।”

বিজেপিও দাবি করেছে, শুভেন্দুর জনসভায় প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষের জমায়েত করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। বিজেপিও একই ভাবে মণ্ডলে মণ্ডলে লোক জমায়েতের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে বার বার কোচবিহারে আসতে হচ্ছে। তাতে কোনও লাভ হবে না। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার ধারেকাছেও মুখ্যমন্ত্রীর সভার ভিড় থাকবে না।”

পর দিন আবার কোচবিহার-২ ব্লকে সভা রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একের পর এক সভা ঘিরে যাতে গন্ডগোল না ছড়ায়, সে দিকে কড়া নজর পুলিশের।

আরও পড়ুন
Advertisement