Bridge Destroyed in Nandigram

ভোটারদের আটকাতে ব্রিজে আগুন ধরানোর চেষ্টা নন্দীগ্রামে! একে অপরকে দুষছে বিজেপি এবং তৃণমূল

পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের নন্দীগ্রাম বিধানসভা ক্ষেত্রের ঘটনা। শনিবার সকালে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া এলাকায় ২৭৪ এবং ২৭৫ নম্বর বুথে যাওয়ার রাস্তায় ওই ব্রিজ ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২৪ ১০:২৪
ভাঙা সেতু পেরনোর অস্থায়ী ব্যবস্থা।

ভাঙা সেতু পেরনোর অস্থায়ী ব্যবস্থা। —নিজস্ব চিত্র।

বুথে যাওয়ার একটিই রাস্তা। সেই রাস্তায় আছে কাঠের তৈরি একটি অস্থায়ী সেতু। শনিবার সাত সকালে ভোট শুরুর আগে হঠাৎ এলাকাবাসীরা দেখেন, সেই সেতুটি মাঝখান থেকে কাটতে শুরু করেছে এক দল দুষ্কৃতী। বুথে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করা হচ্ছে বুঝে গ্রামবাসীরা প্রতিবাদ জানান। তাতে দুষ্কৃতীরা তড়িঘড়ি কাঠের ব্রিজে আগুন লাগানোর চেষ্টাও করেন। অবশেষে খবর পেয়ে পুলিশ এসে পড়ায় রণে ভঙ্গ দেয় তারা। কিন্তু তত ক্ষণে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গিয়েছে কাঠের সেতুটি। সেটি পেরিয়ে ভোট দিতে যাওয়া প্রায় অসম্ভব।

Advertisement

শনিবার ষষ্ঠ দফার ভোট চলছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, মেদিনীপুর শহর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি, তমলুকে। সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার সোনাচূড়ায় এই ঘটনা ঘটে। ২৭৪ এবং ২৭৫ নম্বর বুথে যাওয়ার রাস্তায় ওই ব্রিজের বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। পরে অবশ্য পুলিশ এসে দুষ্কৃতীদের তাড়ায়। সেতুটি পেরিয়ে অন্য পারে যাওয়ারও একটি অস্থায়ী ব্যবস্থাও করে। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেতুটি এখন এতটাই বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে যে, সেটি পেরিয়ে ভোট দিতে যাওয়ার স্বতঃস্ফূর্ততা কিছুটা হলেও কমবে।

এই ঘটনায় এলাকার বিজেপি নেতারা সেতু ভাঙার অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূল কমিশনে অভিযোগ এনেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূল তাদের অভিযোগে জানিয়েছে, ওই এলাকায় বুথের বাইরে প্রায় ৬০০ মানুষ অপেক্ষা করছেন। তাঁরা ভোট দিতে যেতে পারছেন না। তৃণমূলের অভিযোগ, হেরে যাওয়ার ভয়েই ভোটারদের বুথে যাওয়া রুখতে চাইছে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনেছে বিজেপিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement