প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার প্রশ্নে গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা চলল বিজেপির সদর দফতরে। প্রাথমিক ভাবে আজ গোটা কুড়ি রাজ্যের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় সবুজ সঙ্কেত দেয় বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি। সূত্রের মতে, আগামী ১০ মার্চের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশো আসনে প্রার্থী ঘোষণার কাজ সেরে ফেলতে চান বিজেপি নেতৃত্ব। রাত ১১টা নাগাদ বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সূত্রের খবর, আজ যে আসনগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে বারাণসী। যেখান থেকে লড়বেন নরেন্দ্র মোদী। এ ছাড়া অমিত শাহ (গান্ধীনগর), রাজনাথ সিংহ (লখনউ)-দের মতো হেভিওয়েটদের আসন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। দু’বার রাজ্যসভা থেকে নির্বাচিত হওয়া ভূপেন্দ্রকে এ যাত্রায় লোকসভা থেকে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দল। তাঁর পছন্দের আসন হল যাদব-অধ্যুষিত রাজস্থানের অলওয়ার। প্রাক্তন সাংসদ বাবা বালকনাথ রাজস্থান বিধানসভায় জেতার পরে ওই আসনটি খালি হয়। তবে দল চাইছে ভূপেন্দ্র হরিয়ানার ভিওয়ানি আসন থেকে লড়ুন। এ ছাড়া গুজরাতের ভাবনগর থেকে মনসুখ মাণ্ডবিয়া, ওড়িশার সম্বলপুর থেকে ধর্মেন্দ্র প্রধান, বেঙ্গালুরু (সেন্ট্রাল) থেকে রাজীব চন্দ্রশেখরের নাম নিয়ে আলোচনা হয়। উত্তরপ্রদেশের অম্বেডকর নগর থেকে লড়তে পারেন সদ্য বিএসপি থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রীতেশ পাণ্ডে। সূত্রের মতে, আজ তেলঙ্গানা, গুজরাত, রাজস্থান, গোয়া, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলি নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়।
আজ সন্ধ্যার পর থেকেই নির্বাচন কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দলীয় নেতারা এসে পৌঁছতে থাকেন। উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও গোয়া, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ডের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা ওই বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। গভীর রাতে ওই বৈঠকে যোগ দেন অমিত শাহ ও দলের সভাপতি জেপি নড্ডা। রাত ১১টায় আসেন মোদী।
সূত্রের খবর, বিজেপির সদর দফতরে বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একান্ত বৈঠকে বসেছিলেন মোদী, শাহ ও নড্ডা। সেখানেই প্রথম প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের মতে, লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই দেশের প্রধান শাসকদল প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিলে বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র উপরে চাপ তৈরি করার যাবে। এ ছাড়া, প্রার্থী ঘোষণা হলে প্রচারের ক্ষেত্রে কয়েক কদম এগিয়ে থাকবেন পদ্ম প্রার্থীরা। প্রথম দফায় দেড়শোর মতো আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেন মোদী-শাহেরা।