বহরমপুরের আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ভোটের আগে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে ক্রমশ সরগরম হচ্ছে বহরমপুর। বুধবার নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি লিখে বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, তাঁকে প্রচারে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের তরফে কমিশনকে আরও একটি চিঠি দিয়ে বহরমপুর থানার ইনস্পেক্টর ইন-চার্জ (আইসি)-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরেই কমিশন ওই আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে কী কারণে তাঁকে সরানো হল, কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
গত বুধবার অধীরকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে চিঠি লেখেন প্রদেশ কংগ্রেসের সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নিলয় প্রামাণিক। তিনি দু’টি ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে দাবি করেন, রাজ্যের শাসকদল অধীরের প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছে। এর মধ্যে প্রথম ঘটনাটি ঘটে বহরমপুর লোকসভারই অন্তর্গত সালারে। নিলয়ের দাবি, সালারে প্রচার করার বিষয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া থাকলেও তৃণমূল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। কংগ্রেসের বক্তব্য, পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য রাখতে না পেরে গাড়ি থেকে ভাষণ দেন অধীর।
আবার কান্দিতে শাসকদলের প্রচার কর্মসূচির জন্য কংগ্রেসের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের বক্তব্য, তৃণমূলের কর্মসূচি হচ্ছিল অন্তত তাদের কর্মসূচি থেকে ৮০০-৯০০ মিটার দূরে। কিন্তু ৫০০ মিটারের মধ্যে দু’টি দলের কর্মসূচি করা যাবে না— এই যুক্তি দেখিয়ে তাদের প্রচার বাতিল করে দেওয়া হয় বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান লিফলেট ছাপিয়ে অধীরের মোবাইল নম্বর ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ফলে বিভিন্ন উড়ো ফোন ধরতে ধরতে ধরতে নাজেহাল হতে হচ্ছে কংগ্রেস প্রার্থীকে।
কমিশনকে দেওয়া আরও একটি চিঠিতে বহরমপুরের আইসির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাত, দলীয় কর্মীদের অকারণে গ্রেফতার করার অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই আইসিকে সরিয়ে কমিশন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে তিন জনের প্যানেল থেকে এক জনকে নতুন আইসি হিসাবে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে।