মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
অসমে প্রচারে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৭ এপ্রিল শিলচরে প্রচার করবেন। অসমে তৃণমূলের চার জন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের হয়েই প্রচার করবেন মমতা।
আসন্ন লোকসভা তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বললেন, ‘‘বিজেপি দেশ বেচে দিয়েছে। সিপিএম-কংগ্রেসকে নিয়ে লড়ছে বিজেপি। বাংলায় তৃণমূল ছাড়া কাউকে ভোট দেবেন না। ভোট দিলে বিজেপির সুবিধা হবে।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণ করেননি। চা বাগানের দশ লক্ষ মানুষকে বিপদে ফেলেছেন। ঝড়ে যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, তাঁদের নাম আবাসের তালিকায় ছিল। বাড়ি পেলে আজ ওদের এই দুর্দশা হত না।’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা বাংলাকে ঘৃণা করেন। আপনারা বাংলাকে বঞ্চিত করে রেখেছেন। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে অত্যাচার করছেন।’’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা সিএএ, এনআরসি করতে দেব না। সিএএ-তে আবেদন করলেই আপনি বিদেশি হয়ে যাবেন। আমার বাবার তো সার্টিফিকেট নেই। আপনাদের কী করে থাকবে।’’
শীতলখুচির প্রসঙ্গ টানলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘শীতলখুচিতে পাঁচ জনকে গুলি করে মেরেছে। যাঁর নির্দেশে গুলি চলেছে, তাঁকেই (দেবাশিস ধর) বীরভূমে প্রার্থী করেছে বিজেপি।’’
কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘‘অনেকের চাকরি খেয়েছেন। এ বার জনগণের আদালতে আপনার বিচার হবে।’’
সন্দেশখালি সিঙ্গুরও নয়, নন্দীগ্রামও নয়। কিছু ঘটনা স্থানীয় ভাবে ঘটেছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে। বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা শাহজাহান, আরাবুলকে গ্রেফতার করেছি।’’
আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে ভোটপ্রচারের জন্য সেখানে জনসভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তুফানগঞ্জের নাগুর হাট হাই স্কুলের মাঠে তাঁর সভা হচ্ছে। অন্য সভাটি হবে জলপাইগুড়িতে।
রাজ্যে প্রথম দফার ভোট আগামী ১৯ এপ্রিল। ভোটপ্রচারে এখন উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার জোড়া সভা তাঁর। একটি সভা আলিপুরদুয়ার লোকসভার অধীন তুফানগঞ্জে। দ্বিতীয়টি জলপাইগুড়ি লোকসভা এলাকায়। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই দু’টি আসনই জিতে নিয়েছিল বিজেপি। এ বার ওই আসন জিততে চায় তৃণমূল। আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রকাশ চিক বরাইক এবং জলপাইগুড়িতে বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে।