মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
মমতা বললেন, উত্তরবঙ্গের ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে একটি কাগজে সই করানো হয়েছে। তাতে লেখা ছিল, ‘‘ভোটে বড় গন্ডগোল হয়েছে বলে এই অ্যাকশন নিতে বাধ্য হলাম।’’ উদাহরণ দিয়ে মমতা বললেন, ‘‘কোনও বড় অভিযানে যাওয়ার আগে বাড়ির লোককে দিয়ে এ রকম বন্ডে সই করানো হয়। আর এরা ভোট শুরুর আগেই ভোটে অশান্তির ঘণ্টা বাজিয়ে দিল। নির্বাচনের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিল। এটা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে!’’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চ্যালেঞ্জ বাংলা ভাষা নিয়ে। নাম না করে বললেন, ‘‘দেখি কত তুই বাংলা জানিস! দেখে দেখে রবীন্দ্র-নজরুল না বলে আমার মতো ঘুরে ঘুরে বল দেখি স্টেজে, তবে বুঝব। চ্যালেঞ্জ করে গেলাম। ’’
বিজেপি চোর হ্যায়! স্লোগান দিতে দিতেই হঠাৎ থেমে গিয়ে মমতা বললেন, ‘‘পকেটমারদের দেখেছেন? যারা পকেটমারি করে, তারাই প্রথমে ‘পকেটমার, পকেটমার’ বলে চিৎকার করে যাতে নিজেরা পালিয়ে যেতে পারে। বিজেপিও তাই করে। ওরা সবচেয়ে বড় চোর, তাই ‘চোর চোর’ করে চিৎকার করে বেড়াচ্ছে। আর সব চোরেরা বিজেপিতে গিয়ে ভাল হয়ে যাচ্ছে। ওয়াশিং মেশিন ভাজপা।’’
মমতার সভায় ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি। মঞ্চ থেকেই জনগণকে সংযত হতে বললেন মমতা। বললেন, ‘‘পদপিষ্ট হওয়ার পরিস্থিতি হলে আমি সভা ছোট করে দেব। এর দায়িত্ব আমি নেব না।’’
মমতা বললেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমি ভালবাসি। আমি ওদের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু বিজেপি ওদের পার্টি ক্যাডার হিসাবে ব্যবহার করছে। আমি একটা কথা ইংরেজিতে বলব। যাতে কথাটা নির্বাচন কমিশনের কানে পৌঁছয়। আমার প্রশ্ন, উত্তরবঙ্গের ভোটে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হচ্ছে কেন? কেন সেখানে রাজ্য পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে না। তা হলে কী করে আমরা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে বলে বিশ্বাস করব।’’
মমতা বললেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের ভোটে দুষ্টুমি হচ্ছে! আমি খবর পাচ্ছি। ’’
দশ বছর হয়ে গেল আবাসের টাকা দেওয়ার সময় পাওনি। আর এখন ভোটের সময় আবাসের আবেদনপত্র চাইতে এসেছে বিজেপি। কলসেন্টার থেকে ফোন করে বলছে, আবাসের টাকা চাই তা হলে অ্যাপ্লাই করুন। আসলে এ সব ভোট নেওয়ার জন্য। লজ্জা, লজ্জা, বিজেপির লজ্জা হওয়া উচিত।
মমতা বললেন, ওরা ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি কর্মশ্রী করেছি। ৫০ দিন কাজ করলেই টাকা পাবেন।
ভিড় উপচে পড়ছে জঙ্গিপুরে মমতার জনসভায়। সভা শুরুর আগে পাঁচ মিনিট মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভিড় সামলালেন মানুষের।
উত্তরবঙ্গের প্রথম দফার ভোট শুরু হল ১৯ এপ্রিল। ভোট চলাকালীনই দক্ষিণবঙ্গে প্রচারে মমতা। আগামী ৭ মে ভোট জঙ্গিপুরে। মমতা জনসভা করছেন সেই জঙ্গিপুরেরই গত বারের জয়ী তৃণমূল সাংসদ এবং এ বারের প্রার্থী খলিলুরের হয়ে।
মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় জনসভার পর জঙ্গিপুরের ছাবঘাটি কে ডি বিশ্ববিদ্যালয়ের ময়দানে জনসভা মমতার। তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে প্রচার করবেন মমতা। পৌঁছলেন মঞ্চে।