কঙ্গনা রানাউত। — ফাইল চিত্র।
তিনি কখনও গোমাংস খাননি। সব ‘ভিত্তিহীন’, ‘গুজব’ বলে দাবি করলেন হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জবাব দিলেন কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ারকে। রবিবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী নেতা বিজয় অভিযোগ করেন, কঙ্গনা অতীতে বলেছিলেন যে, তিনি গোমাংস খান। তার পরেও তাঁকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করেছে বিজেপি।
সোমবার কঙ্গনা এক্স (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, ‘‘আমি গোমাংস বা কোনও রেড মিট খাই না। আমার বিষয়ে কিছু ভিত্তিহীন গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা লজ্জাজনক। দশকের পর দশক আমি যোগীর মতো জীবন যাপন করছি। আয়ুর্বেদে বিশ্বাসী। এ সব কৌশল আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারবে না। আমার মানুষজন আমাকে চেনেন এবং তাঁরা জানেন, আমি এক জন গর্বিত হিন্দু। এ সব রটনা ওঁদের ভুল পথে চালনা করতে পারবে না।’’
কঙ্গনার হয়ে বিজয়কে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেত্রী শাইনা এনসি। তাঁকে ‘মহিলা-বিরোধী’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। শাইনার কথায়, ‘‘এই প্রথম কংগ্রেস এ ধরনের হাস্যকর মন্তব্য করেনি। সুপ্রিয়া শ্রীনাথ বলেছিলেন ‘মাণ্ডিতে কত দর’। রণদীপ সুরজেওয়ালা হেমা মালিনীর কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি সনিয়া গান্ধীর বয়সি, তার পরেও। কংগ্রেস আসলে মহিলা বিরোধী একটা দল।’’ এর আগে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়ার মন্তব্য নিয়েও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন কঙ্গনা। জানিয়েছিলেন, ছবিতে যেমন তিনি যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তেমনই জয়ললিতার মতো নেত্রীর চরিত্রেও অভিনয় করেছেন ‘থালাইভি’ ছবিতে।
সম্প্রতি কঙ্গনার আরও একটি মন্তব্য নিয়ে জলঘোলা হয়েছে। বিরোধী দলগুলি কটাক্ষ করেছে। ২০১৪ সালে একটি সংবাদমাধ্যমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কঙ্গনা বলেছিলেন, ‘‘আমি একটা কথা আজ পরিষ্কার করে বলতে চাই, যখন আমরা স্বাধীনতা পাই তখন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, উনি কোথায় গেলেন?’’ সেই নিয়ে তোপ দাগেন বিরোধী নেতারা।