কঙ্গনা রানাউত। — ফাইল চিত্র।
বছর ১০ আগে অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রানাউতের এক মন্তব্যকে নিয়ে আবারও আসরে নামল বিজেপি বিরোধী দলগুলি। ‘টাইমস নাও সামিট’-এ নেতাজির অন্তর্ধান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সুভাষচন্দ্র বসুকে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কঙ্গনা। ২০১৪ সালে কঙ্কনার সেই পুরনো মন্তব্য লোকসভা ভেটোর আগে আবারও সমাজমাধ্যমে ছড়াতে শুরু করেছে।
কী বলেছিলেন কঙ্গনা? ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো ক্লিপে কঙ্গনাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমি একটা কথা আজ পরিষ্কার করে বলতে চাই, যখন আমরা স্বাধীনতা পাই তখন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস, উনি কোথায় গেলেন?...’’।
কঙ্গনা রাজনীতিতে নতুন। তবে বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করে নানা সময়ে নানা কথা বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। তবে কখনওই নিজেকে সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়াননি কঙ্গনা। কিন্তু এ বারে লোকসভাতে যে তাঁকে বিজেপি টিকিট দিতে পারে, সেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। বিজেপির পঞ্চম প্রার্থিতালিকা প্রকাশ হতেই সেই জল্পনা সত্যি হয়। হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি থেকে বিজেপি কঙ্গনাকে প্রার্থী করেছে।
তার পর থেকেই কঙ্গনাকে আক্রমণ শুরু করে বিরোধী শিবির। সম্প্রতি কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাত কঙ্কনাকে আক্রমণ করতে গিয়ে বেঁফাস মন্তব্য করে বসেন। সমাজমাধ্যমে কঙ্গনার একটি খোলামেলা পোশাক পরিহিত ছবি পোস্ট করেন কংগ্রেস নেত্রী। সেই পোস্টেই তিনি লিখেছিলেন, ‘‘মান্ডিতে কী দাম চলছে এখন, একটু বলবেন?’’ কংগ্রেস নেত্রীর পোস্ট নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল বিজেপি। পদ্মশিবিরের বক্তব্য, কঙ্গনাকে আক্রমণ করতে গিয়ে শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছেন সুপ্রিয়া। বলি অভিনেত্রীকে ‘যৌনকর্মী’র সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে বলেও দাবি করে বিজেপি। যা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। কংগ্রেস জানিয়েছিল, তারা কোনও ভাবেই এ হেন মন্তব্যকে সমর্থন করে না।
এ বার পুরনো এক ভিডিয়োকে হাতিয়ার করে কঙ্গনাকে নিশানা করলেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) কার্যকরী সভাপতি কেটিআর। তিনি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘উত্তরের এক বিজেপি প্রার্থী বলছেন নেতাজি আমাদের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। আর দক্ষিণের আর এক বিজেপি প্রার্থী মহাত্মা গান্ধীকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী বলছেন। এই সব মানুষ কোথা থেকে স্নাতক হয়েছেন?’’ নেটাগরিকেরাও কঙ্গনার পুরনো ভিডিয়ো নিয়ে সামজমাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করতে শুরু করেছে।