সালারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আহত অন্তত ছ’জন। — নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গোলমালে উত্তপ্ত বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সালার। সালারের তালিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব গ্রাম এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের প্রচারে গিয়ে এক পক্ষের বাড়ি, দোকানে চড়াও হওয়ার অভিযোগ করেছে অপর গোষ্ঠী। আহত হয়েছেন অন্তত ছয় তৃণমূল কর্মী। আহতরা কান্দি মহকুমা হাসপাতাল এবং ভরতপুর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোলমালের জেরে ভন্ডুল হয়ে যায় পাঠানের প্রচার।
সালার ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে তালিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রবি শেখের গোষ্ঠীর গোলমাল নতুন নয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী পাঠানের হয়ে প্রচার করছিলেন রবির অনুগামীরা। অভিযোগ, প্রচার চলাকালীন অতর্কিতে মোস্তাফিজুরের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা হয়। বাড়িতে এবং দোকানে ঢুকে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। মারামারিতে আহত হন ছয় তৃণমূল কর্মী। দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে হামলার ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ফুটেজেও। ঘটনায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। আহতরা কান্দি মহকুমা হাসপাতালে এবং ভরতপুর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। আক্রান্ত রূপচাঁদ শেখ বলেন, ‘‘দলের ব্লক সভাপতির ইন্ধনে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। আসলে ওরা চায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে। দলের জয়-পরাজয় নিয়ে উনি চিন্তিত নন।’’
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সালার থানার পূর্বগ্রাম। মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী সুখচাঁদ শেখের। ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সালার থানায় ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মোস্তাফিজুরের বিরুদ্ধে খুনের মামলাও দায়ের হয়। সেই ঘটনার জেরেই হামলা কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ।