মহুয়া মৈত্র। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ বিরোধী আইনের আওতাধীন মামলা (পিএমএলএ) যুক্ত করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর তার পরেই তাঁর মা মহুয়াকে হোয়াট্সঅ্যাপে অভয়বার্তা পাঠিয়েছেন। মায়ের সেই বার্তা বুধবার দুপুরে তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন মহুয়া।
যে স্ক্রিনশট মহুয়া পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, মেয়ের ফোনে মায়ের নম্বর ‘সেভ’ করা রয়েছে ‘মাম্মি মোবাইল এয়ারটেল’ বলে। ইংরেজিতে লেখা সেই বার্তা বলছে, ‘‘তুমি আমার নামে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি তৈরি রাখো। ওরা (কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা) তোমায় গ্রেফতার করলে আমি ভোটে মনোনয়ন জমা দেব।’’ স্ক্রিনশটটি পোস্ট করে মহুয়া লিখেছেন, ‘‘বিজেপির ইডি, সিবিআইয়ের এই দৈনিক প্রেমের উদ্যাপন নিয়ে আমার মায়ের জবাব। ইউ রক মাম্মি। আসল বাঘিনি।’’
গত সপ্তাহে মহুয়াকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু মহুয়া জানিয়েছিলেন, তিনি ভোটের আগে তাঁর কেন্দ্র কৃষ্ণনগরে থাকবেন। আপাতত তিনি ভোটের প্রচারে ব্যস্ত। তার মধ্যেই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নতুন করে সমন জারি করেছে মহুয়া এবং তাঁর পরিচিত দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে ডাক পাঠিয়ে। ইডি সূত্রের খবর, দু’জনকেই বিদেশি মুদ্রা বিনিময় আইন (ফেমা) লঙ্ঘনের বিষয়ে জেরা করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মহুয়ার কলকাতার বাসস্থানে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। তার পরে তল্লাশি চালানো হয়েছে মহুয়ার কৃষ্ণনগরের বাসস্থান, তাঁর দফতর এবং তাঁর করিমপুরের বাড়িতেও। কলকাতার বাসস্থানটি আদতে মহুয়ার বাবা-মায়ের। সিবিআই তল্লাশির সময়ে মহুয়ার মা মঞ্জু মৈত্র সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার সকালে পৃথক পোস্টে একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম তুলে ধরে মহুয়ার কটাক্ষ ছিল, ‘খুলে হ্যায় বিজেপি কে দ্বার, আ যাও নহি তো অব কে বার তিহাড়’। অর্থাৎ, বিজেপির দরজা খোলাই আছে। এ বার চলে এসো। নইলে ঠিকানা হবে তিহাড় (জেল)। ঘটনাচক্রে, আপাতত আম আদমি পার্টির শীর্ষনেতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল আবগারি দুর্নীতি মামলায় তিহাড়ে বন্দি। কেজরীওয়ালের মুখ্যমন্ত্রী আবাসে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। যার প্রেক্ষিতে মহুয়ার অভিযোগ, এটা বিজেপির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য, ‘‘আমাদের যেমন ছাত্র সংগঠন, যুব সংগঠন রয়েছে, তেমন বিজেপির ইডি, সিবিআই রয়েছে।’’