হুগলির প্রার্থী লকেটের নৌকায় প্রচার। — নিজস্ব চিত্র।
গঙ্গাবক্ষে নৌকায় ভেসে নববর্ষ পালন করলেন হুগলি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা ওই কেন্দ্রেরই বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বাজল ঢাক, ঢোল, সেই সঙ্গে জোরকদমে চলল ভোটের প্রচার। রবিবার সকালে চন্দননগর থেকে নৌকায় ভাসেন লকেট। চুঁচুড়া, বাঁশবেড়িয়া পেরিয়ে নৌকা যায় ত্রিবেণী পর্যন্ত। অথচ, ত্রিবেণীর পরেই বলাগড়, যে এলাকা ভাঙনের সমস্যায় নাজেহাল, সেখানেই গেল না লকেটের নৌকা। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।
চন্দননগরের রানিঘাট থেকে শুরু করে চুঁচুড়া, বাঁশবেড়িয়া পেরিয়ে ত্রিবেণী পর্যন্ত চলে লকেটের নৌকাপ্রচার। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে নৌকাতেই বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান পালন করা হয়। ঢাকের বোলে বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা লাল পাড়, সাদা শাড়িতে কুলো হাতে নববর্ষের অনুষ্ঠান করেন। ঘাটে নেমে লকেট বলেন, ‘‘সবাইকে নববর্ষের প্রীতি, শুভেচ্ছা এবং ভালবাসা জানাই। নতুন বছর প্রতিটি মানুষের ভাল কাটুক। সবার সব স্বপ্ন পূরণ হোক।’’
হুগলি লোকসভার মধ্যে চারটি এমন বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, যার অবস্থান গঙ্গার ধার বরাবর। চন্দননগর, চুঁচুড়া, সপ্তগ্রাম এবং বলাগড় বিধানসভা গঙ্গার পশ্চিম পারে। নদীর পারে বসতিও অনেক। সেই ভোটারদের কাছে পৌঁছতে রবিবারের প্রচারে জলপথকেই বেছে নিলেন লকেট। তবে যে বলাগড়ে গঙ্গার ভাঙন একটা বড় সমস্যা, সেই জায়গায় নৌকা নিয়ে গেলেন না লকেট। তা নিয়ে প্রার্থী বলেন, ‘‘বলাগড়ের ভাঙন নিয়ে রাজ্য সরকার উদাসীন। কেন্দ্রের টাকা খরচ করেনি রাজ্য, সে টাকা ফেরত চলে গিয়েছে। ২০২৪ সালে কেন্দ্রে সরকার তৈরির পর এ নিয়ে কথা বলব। দেখব, সরাসরি কোনও কাজ করা যায় কি না।’’ সাংবাদিকরা পাল্টা প্রশ্ন করেন, গত পাঁচ বছর তিনি সাংসদ ছিলেন তখন কেন উদ্যোগী হননি? জবাবে লকেট বলেন, ‘‘আমি সংসদে বিষয়টি তুলেছি। পঞ্চায়েতের একটা বৈঠকে গঙ্গা ভাঙন নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। ‘কোরাম’ হয়নি বলে তৃণমূল সেই বৈঠকই করতে দেয়নি। এরা মানুষের ভাল চায়নি। তোলাবাজিতেই ব্যস্ত। কেন্দ্র টাকা দিলেও তা রাজ্যের মাধ্যমে খরচ হয়। এ বার জিতে ওঠার পর দেখব অন্য কোনও পথ আছে কি না।’’
বলাগড়ের নৌকা শিল্পকে বাঁচাতে শিল্পীদের ‘বিশ্বকর্মা যোজনা’র মধ্যে নিয়ে এসে তিন লক্ষ টাকার ঋণের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।