মল্লিকার্জুন খড়্গে (বাঁ দিকে)-র সঙ্গে ব্রিজেন্দ্র সিংহ। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি ছাড়লেন হরিয়ানার হিসারের সাংসদ ব্রিজেন্দ্র সিংহ। রবিবারই তিনি যোগ দিলেন কংগ্রেসে। দলবদলের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চৌধরি বীরেন্দ্র সিংহের পুত্র ব্রিজেন্দ্রের দলত্যাগে ভোটের আগে বিজেপি চাপে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
রবিবার বেলায় নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে একটি টুইট করে হঠাৎই বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন ব্রিজেন্দ্র। হিসারের সাংসদ হিসাবে কাজ করতে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডাকে। আলাদা করে ধন্যবাদ জানান হিসারের সাধারণ মানুষকেও। তার পরেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের বাসভবনে উপস্থিত হন প্রাক্তন আমলা ব্রিজেন্দ্র। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন, মুকুল ওয়াসনিক, দীপক বাবারিয়ার উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি।
প্রথম ব্রিজেন্দ্র জানান, ‘রাজনৈতিক কারণেই’ বিজেপি ছাড়তে ‘বাধ্য’ হচ্ছেন তিনি। পরে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানান, হরিয়ানায় বিজেপি এবং জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)-র মধ্যে জোটে আপত্তি জানিয়েই তাঁর এই দলত্যাগ। তারও পরে বিজেপি ছাড়া এবং কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে করে ব্রিজেন্দ্র বলেন, “বিজেপির সঙ্গে আমার আদর্শগত বনিবনা হচ্ছিল না। কৃষকদের সমস্যা থেকে অগ্নিবীর প্রকল্প, এমনকি কুস্তিগিরদের প্রতিবাদ— বহু বিষয়েরই আমি বিরোধিতা করেছিলাম। কংগ্রেস পরিবারের সদস্য হতে পেরে আমি খুশি।”
ব্রিজেন্দ্রর বাবা বীরেন্দ্র ২০১৪ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ব্রিজেন্দ্রের ঠাকুরদা ছিলেন হরিয়ানার জনপ্রিয় জাঠ নেতা ছোটু রাম। আইএএস আধিকারিক হিসাবে ২১ বছর কাজ করার পর হঠাৎই স্বেচ্ছাবসর নিয়ে রাজনীতির ময়দানে নামেন ব্রিজেন্দ্র। ২০১৯ সালে হিসার কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। জেজেপি-র দুষ্যন্ত চৌতালাকে হারিয়ে জয়ী হন তিনি পরে যদিও হরিয়ানার বিধানসভা ভোটে জেজেপি-র সমর্থনে সরকার গড়ে বিজেপি। মাঝে ২০২২ সালে রটে গিয়েছিল যে ব্রিজেন্দ্র আপে যোগ দিচ্ছেন। সেই সময় নিজেই অবশ্য জল্পনায় জল ঢালেন ব্রিজেন্দ্র। হিসারে তাঁকে বিজেপি আর প্রার্থী না-ও করতে পারে, এমন জল্পনা থেকেই তাঁর এই দলবদল কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।