বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী। ছবি পিটিআই।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা অধিবেশনে সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘‘২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি একাই জিতবে ৩৭০ আসন। আর এনডিএ জোট ৪০০ পার করবে।’’ শনিবার দিল্লির ‘ভারত মণ্ডপম’-এ বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠকের প্রথম দিনে সেই একই কথা বললেন দলীয় কর্মীদের। সেই সঙ্গে বেঁধে দিলেন ‘১০০ দিন’-এর লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘‘দলের প্রত্যেক কর্মীকে আগামী ১০০ দিন নিজের নিজের ভোটকেন্দ্রে সময় দিতে হবে। প্রতিটি ভোটারের কাছে গিয়ে বলতে হবে, গত ১০ বছরে বিজেপি কী কী করেছে।’’
শনিবার থেকে দিল্লির ‘ভারত মণ্ডপম’-এ শুরু হয়েছে দু’দিন ব্যাপী বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিলের বৈঠক। এই বৈঠকে সব রাজ্যের সমস্ত পদাধিকারী, সাংসদ, বিধায়ক, শাখা সংগঠনের নেতৃত্ব, জেলা সভাপতিরা হাজির রয়েছেন। সারা দেশ থেকে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার জন বিজেপি প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের রূপরেখা কী হতে পারে, তা ঠিক হবে এই বৈঠকে। নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সভাপতিত্বে এই বৈঠক হচ্ছে।
দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে শনিবার মোদী বার বার ৩৭০ আসনের লক্ষ্যের কথা বলেছেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কী কথা হয়েছে, তা সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদে। বৈঠকে মোদী বলেছেন, ‘‘৩৭০ বিজেপির জন্য শুধুমাত্র একটা সংখ্যা নয়। একটি গভীর অনুভূতির প্রতীক।’’
এই কথা বলতে গিয়ে মোদী টেনে এনেছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আমাদের দেশের ঐক্য এবং অখণ্ডতা রক্ষা করতে ৩৭০ ধারা বাতিলের জন্য চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিজেপির উচিত ৩৭০ আসনে জয়ী হওয়া।’’ উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার সূচক সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করেছিল।
লোকসভা ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচারে গত ১০ বছরে মোদী সরকার যে উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তার খতিয়ান সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যই শনিবারের বৈঠকে স্থির হয়েছে বলে জানান বিনোদ তাওদে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মোদী শনিবার বলেছেন, ‘‘বিজেপি কী ভাবে গত ১০ বছরে মেয়েদের জীবনযাত্রা সহজ করে তুলেছে, তা প্রতিটি মানুষকে বোঝাতে হবে।’’ সেই সঙ্গে ‘দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ প্রশাসন’-এর প্রচার করার উপরও জোর দেওয়ার কথা বলেছেন মোদী। রবিবার এই সম্মেলনের দ্বিতীয় তথা শেষ দিন। সেখানে মোদী কী বলেন, সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।