— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
চার দফা লোকসভা ভোট হয়েছে। এখনও তিন দফার ভোট বাকি রয়েছে। শনিবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোট ঘোষণা থেকে এখন পর্যন্ত দেশে প্রায় ৯০০০ কোটি টাকার হিসাব-বহির্ভূত নগদ, মদ, মাদক, দামি ধাতু, উপঢৌকন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মার্চের শুরুতে ভোটের দিন ঘোষণা করেছিল কমিশন। সেই থেকে চলছে ধরপাকড়। সবচেয়ে বেশি হিসাব-বহির্ভূত জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোদীর গুজরাতে।
কমিশন জানিয়েছে, গত দু’মাসে প্রায় ৮,৮৮৯ কোটি টাকার হিসাব-বহির্ভূত নগদ, মদ-সহ অন্য জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪৫ শতাংশই মাদক। কমিশন সূত্রে খবর, প্রায় ৩,৯৫৮ কোটি টাকার হিসাব-বহির্ভূত মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, ৮৪৯.১৫ কোটি নগদ টাকা, ৫.৩৯ কোটি লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা মদের মূল্য ৮১৪.৮৫ কোটি টাকা। ১২৬০.৩৩ কোটি টাকার দামি ধাতু, ২০০৬.৫৬ কোটি টাকার উপঢৌকন উদ্ধার করা হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেশে মোট ৩,৪৭৫ কোটি টাকার নগদ, মদ, মাদক, উপঢৌকন উদ্ধার করা হয়েছিল।
বাজেয়াপ্তের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি গুজরাতে। সেখান থেকে ১,৪৬১.৭৩ কোটি টাকার হিসাব-বহির্ভূত মদ, মাদক, উপঢৌকন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত তিন দিনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাজ্য থেকে শুধু মাদকই বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৮৯২ কোটি টাকার, যেখানে নিষিদ্ধ মদ। গুজরাত এটিএস (সন্ত্রাসদমন শাখা), নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি), ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এ সব বাজেয়াপ্ত করেছে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, হিসাব-বহির্ভূত মদ এবং মাদক বাজেয়াপ্ত করার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।
শনিবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সিভিজিল অ্যাপের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৯০৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৪০৯টি অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ৩ লক্ষ ২৪ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে অনুমতি ছাড়া পোস্টার, ব্যানার লাগানো নিয়ে। কমিশনের সি-ভিজিল অ্যাপে নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ জমা দিতে পারেন ভোটারেরা। কমিশনের বক্তব্য, ওই সব অভিযোগ জমা পড়ার ১০০ মিনিটের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। সেখানে একাধিক বিষয়ে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে।