সুপ্রিম কোর্ট। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশের দুই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ বার সেই নিয়োগের বিরোধিতা করেই সুপ্রিম কোর্টে গেল কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদী সরকার যাতে কোনও ভাবেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে হস্তক্ষেপ না করে, তার আবেদন জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করলেন মধ্যপ্রদেশের এক কংগ্রেস নেত্রী।
গত শনিবার আচমকাই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। নির্বাচন কমিশনের তিন জনের বেঞ্চে এখন শুধু রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। অরুণের ইস্তফা দেওয়ার ফলে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনারের দুই পদই। উল্লেখ্য, গত মাসেই অন্য নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে অবসর নিয়েছেন অনুপ পাণ্ডে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কমিশন প্রায় ফাঁকা হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু তা-ই নয়, অরুণ কেন আচমকা ইস্তফা দিলেন, তা নিয়েও জল্পনা চলছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন অরুণ। একজন মাত্র নির্বাচন কমিশনারকে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমের বিধানসভা ভোট করানো কঠিন বলে মনে করছেন অনেকেই।
এই আবহে শীঘ্রই নির্বাচন কমিশনের দুই শূন্যপদে নিয়োগ হতে পারে বলে খবর। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ মার্চ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে বৈঠকে বসতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন প্যানেল। সেই প্যানেলে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও থাকেন তাঁর ঠিক করা এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। অতীতে এই প্যানেলে থাকতেন দেশের প্রধান বিচারপতি। কিন্তু ডিসেম্বরে কেন্দ্র সরকারের আনা নতুন আইন অনুসারে প্যানেল থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। সেই আইন নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন।
বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, এমন ব্যবস্থা দেশের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারকে বৃহত্তর ক্ষমতা দেয়। যা নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। সেই একই অভিযোগ তুলে সোমবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর। তাঁর আবেদন, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য আনা নতুন আইন অবাধ এবং সুষ্ঠু ভাবে ভোট পরিচালনার বিরোধী।